জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের দিন দিঘা গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর দলের অন্দরেই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, RSS ও বিজেপির তরফে তাঁকে আপাতত বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে থোড়াই কেয়ার দিলীপ ঘোষের। শনিবার সকালে তিনি জানিয়ে দেন, আমি এই নিয়ে কোনওদিনই ভাবিত নই। আমি গত ৩ বছর ধরে দলের কোন কর্মসূচিতে থাকি? আমি নিজের কর্মসূচি নিজেই তৈরি করি।
জানা গিয়েছে, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সহাস্য সাক্ষাতের পর দিলীপ ঘোষের ওপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ দল ও RSS. শুধু তাই নয়, ওই সাক্ষাতের সমালোচনা করায় যে ভাবে তিনি দলীয় নেতাদের সমালোচনা করেছেন তাও ভালোভাবে নেয়নি দল। সূত্রের খবর এর পরই দিল্লিতে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে অবস্থান ঠিক করতে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকে বসেন আরএসএসর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার। বৈঠকে আপাতত দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য নেতাদেরও।বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দিলীপ ঘোষকে কোনও দলীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। দিলীপ ঘোষ কোনও কর্মসূচির আয়োজন করলে সেখানে কোনও দলীয় নেতা যোগ দেবেন না।
মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিন শেষবার দিলীপ ঘোষকে প্রকাশ্য কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল। কোলাঘাটে চা চক্রে যোগদান করতে গিয়ে বিজেপি নেতাকর্মীদেরই বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তার পর গোটা বৃহস্পতি ও শুক্রবার কোনও দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকী তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি কবে রয়েছে তারও খবর নেই কারও কাছে।
শনিবার সকালে এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে দিলীপবাবু বলেন, ‘আমার তো অফিসিয়াল কোনও কর্মসূচি নেই। আমি সকালে মিডিয়া করছি। অরাজনৈতিক প্রোগ্রামে যাচ্ছি। কালও বাইরেই ছিলাম। আমার তো আপাতত কোনও পলিটিক্যাল কর্মসূচি নেই। থাকে না মাঝেমাঝে। রেস্ট দরকার আছে তো। আমি তো ঘুরে এসে রেস্ট নিলাম বাড়িতে। সকাল থেকে মিডিয়া, কত লোক দেখা করতে আসে। তাদের সময় দিতে হয়। সেটা তো কর্মসূচির মধ্যে থাকে না। আমি এই নিয়ে কোনওদিনই ভাবিত নই। আমি গত ৩ বছর ধরে দলের কোন কর্মসূচিতে থাকি? আমি নিজের কর্মসূচি নিজেই তৈরি করি। সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাই। সব কর্মসূচি লেখা থাকে না। পাবলিক প্রোগ্রামগুলো লেখা থাকে।’