কলকাতায় একটি বিপজ্জনক বহুতলের বারান্দা ভেঙে এক কিশোরীর মৃত্যু হল। বড়তলা থানা এলাকার দুর্গাচরণ স্ট্রিটে আচমকা বাড়ির বাড়ির বারান্দা ভেঙে পড়ে। কিশোরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের নাম হেতাল মালি (১৭)। খবর পেয়ে রাতেই আধিকারিকরা ওই বহুতলে পৌঁছন এবং বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলে পুরসভা।
আরও পড়ুন: বাঘাযতীনের হেলা-বহুতল গুঁড়িয়ে দিল KMC, ঝুলে ট্যাংরার হেলে পড়া বাড়ির ভাগ্য!
সূত্রের খবর, বাড়িটিকে আগেই বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছিল পুরসভা। এক আধিকারিক জানান, একটি সমীক্ষা চালিয়ে বাড়িটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণার পর বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছিল। পুরসভার তরফে বাড়িটি মেরামত করতে বলা হয়েছিল বাসিন্দাদের। তাঁর কথায়, যদি বাসিন্দারা বাড়িটি মেরামত করতেন তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না। জানা গিয়েছে, কিশোরী দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় অংশটি ভেঙে পড়ে। তাকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার রাতে খবর পেয়েই পুরসভার ঘটনাস্থলে যান এবং ভবনের যেসব অংশ বিপজ্জনক রয়েছে সেগুলি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। জানা গিয়েছে, ওই বহুতলে সবমিলিয়ে ৫৬ জনেরও বেশি ভাড়াটে রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটি ওই বাড়িতে মা বাবার সঙ্গে থাকত। শুক্রবার রাতে বিকট শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে কিশোরীকে জখম অবস্থায় দেখতে পান। শনিবার তার দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, বাড়িটি ১০০ বছরের পুরনো। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিশোরীর মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। পরে শনিবার সকালে সিদ্ধান্ত মতো বাড়ির বিপজ্জনক অংশ পুরসভার তরফে ভেঙে ফেলা হয়। এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা সরকার জানান, ভবিষ্যতে এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য পুরসভার বিল্ডিং বিভাগকে বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করেছেন। তিনি জানান, এখন ইঞ্জিনিয়ারদের উচিত বহুতলের সমীক্ষা করে সমাধান বের করা।