মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই জঙ্গি। আর তাদের জেরা করে যেসব তথ্য় মিলেছে তা এককথায় বিস্ফোরক। এবার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবরকে তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
তথাগত রায় লিখেছেন, এই ছবি ও হেডলাইনের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে আমরা কী ধরনের বারুদের স্তুপের উপর বসে রয়েছি।…রাজ্য সরকার মুসলিম ভোট নিয়ে বেঁচে রয়েছে, বাঙালি হিন্দুদের ভবিষ্যৎ পুরো অবরুদ্ধ। এই ছবির মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে আনসারুল্লা বাংলা টিম পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করেছে, মালদা ও মুর্শিদাবাদে সীমান্ত জেলায় মুসলিম সংখ্যা যেখানে বেশি সেখানে স্লিপার সেল তৈরির চেষ্টা করছে। লিখেছেন তথাগত রায়।
বাস্তবিকই অত্যন্ত উদ্বেগের ছবি সামনে আসছে এবার। যে সংবাদমাধ্যমের ছবি পোস্ট করেছেন তথাগত সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে পালাবদলের পরে ছাড়া পায় আনসারুল্লা বাংলার প্রধান জসিমুদ্দিন রহমানি। তার নির্দেশে মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকে জঙ্গি মহম্মদ শাদ রাডি। সেখানে তার সঙ্গে মিনারুল ও আব্বাস একাধিকবার দেখা করে। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা, জলঙ্গি, আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় স্লিপার সেলের একাধিক বৈঠক। আলিপুরদুয়ারেও স্লিপার সেল তৈরির চেষ্টা। আনসারুল্লা বাংলার মূল উদ্দেশ্য ছিল চিকেনস নেকে হামলা। গোপনে অস্ত্র সংগ্রহও করতে চাইছিল তারা। বহু যুবকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে বলে গোয়েন্দাদের তথ্য।ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কার্যত দেশের মধ্য়ে থেকে, দেশের জল হাওয়ায় বড় হয়ে, দেশের খাবার খেয়ে সেই দেশেরই ক্ষতি চাইছে এই জঙ্গিরা। তাদের জেরা করে এমনই নানা বিস্ফোরক তথ্য় সামনে আসছে।
মুর্শিদাবাদ থেকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ আব্বাস আলি ও মিনারুল শেখকে। এই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করার পরে তাদের একাধিক ছক সামনে আসতে শুরু করেছে।
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার সাংবাদিক বৈঠকে আগেই জানিয়ে ছিলেন, অসম পুলিশের এসটিএফ, আমাদের এসটিএফ ও গোয়েন্দা দফতরের সহযোগিতায় যেটুকু জানা গিয়েছে এই স্লিপার সেলের সদস্যদের কাজ ছিল মূলত দুটি জায়গা থেকে স্থানীয় যুবকদের টেনে আনার কাজ করত। একটা হল মুর্শিদাবাদ ও অপরটি হল আলিপুরদুয়ার। এদের উদ্দেশ্য় ছিল অস্ত্র জোগাড় করা, স্থানীয় যুবকদের সংগঠনে টানা ও চিকেনস নেক, উত্তরবঙ্গের যে করিডরটি রয়েছে যেটা উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত যোগাযোগ স্থাপন করে, সেভেনস সিস্টার যে আছে, শিলিগুড়ির সঙ্গে যে যোগসূত্র চিকেনস নেক সেই অংশটিকে তাদের নাশকতামূলক কাজকর্মের সক্রিয় ও নেপথ্য়ে থেকে দুভাবে স্লিপার সেলের মাধ্যমে ও গোপনে অস্ত্র সংগ্রহের মাধ্যমে ভারত বিরোধী কাজে সক্রিয় হয়ে ওঠা। তাদের বাড়িতে তল্লাশির সময় কিছু বই, ১৬ জিবির পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন কিছু আই কার্ড পাওয়া গিয়েছে। জানিয়েছেন পুলিশ কর্তা।