মুর্শিদাবাদ থেকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ আব্বাস আলি ও মিনারুল শেখকে। এই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করার পরে তাদের একাধিক ছক সামনে আসতে শুরু করেছে। আর সেসব ছক একেবারে বিস্ফোরক।
তারা আসলে পেশায় কী?
মহম্মদ আব্বাস আলি মোটর পাম্পের মেকানিক। আর মিনারুল শেখ মাদ্রাসা চালাতেন। আব্বাসকে পুলিশ আগে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার করেছিল। ২ বছর জেল খেটেছেন।
কী জানাচ্ছেন পুলিশ কর্তা?
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, অসম পুলিশের এসটিএফ, আমাদের এসটিএফ ও গোয়েন্দা দফতরের সহযোগিতায় যেটুকু জানা গিয়েছে এই স্লিপার সেলের সদস্যদের কাজ ছিল মূলত দুটি জায়গা থেকে স্থানীয় যুবকদের টেনে আনার কাজ করত। একটা হল মুর্শিদাবাদ ও অপরটি হল আলিপুরদুয়ার। এদের উদ্দেশ্য় ছিল অস্ত্র জোগাড় করা, স্থানীয় যুবকদের সংগঠনে টানা ও চিকেনস নেক, উত্তরবঙ্গের যে করিডরটি রয়েছে যেটা উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত যোগাযোগ স্থাপন করে, সেভেনস সিস্টার যে আছে, শিলিগুড়ির সঙ্গে যে যোগসূত্র চিকেনস নেক সেই অংশটিকে তাদের নাশকতামূলক কাজকর্মের সক্রিয় ও নেপথ্য়ে থেকে দুভাবে স্লিপার সেলের মাধ্যমে ও গোপনে অস্ত্র সংগ্রহের মাধ্যমে ভারত বিরোধী কাজে সক্রিয় হয়ে ওঠা। তাদের বাড়িতে তল্লাশির সময় কিছু বই, ১৬ জিবির পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন কিছু আই কার্ড পাওয়া গিয়েছে। জানিয়েছেন পুলিশ কর্তা।
সূত্রের খবর, আনসারুল বাংলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাদের। মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুজনকে। তাদের কাছে যে পেনড্রাইভ মিলেছে সেখানে রয়েছে বাংলাদেশের এক কট্টরপন্থী নেতার উসকানিমূলক বক্তৃতা। এমনটাও জানা গিয়েছে।
কী ছক ছিল এই জঙ্গিদের?
বাংলা অসম, দক্ষিণ ভারতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাঁধানোর ছক ছিল তাদের।
জঙ্গি সংগঠনে নতুন করে রিক্রুটমেন্টের চেষ্টা চালাচ্ছিল তারা।
ছোট ও মাঝারি ধরনের নেতাকে খুনের পরিকল্পনা ছিল। মূলত একটা সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছিল। আর এর মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরির ছক কষছিল তারা। এমনটাও মনে করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল তারা শিলিগুড়ি করিডরকে অশান্ত করার জন্য ছক কষছিল। মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ২জনকে গ্রেফতার করে, তাদের জেরা করে একের পর এক তথ্য় আসছে গোয়েন্দাদের কাছে। সেসব একেবারে বিস্ফোরক। মূলত বাংলা ও অসমে অত্যন্ত গোপনে অস্থির পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছিল তারা।