আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে জঙ্গি সংগঠন আনসার উল বাংলাটিম। জানা যাচ্ছে, সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের স্লিপার সেলকে ভারতে সক্রিয় করে তুলতে, নভেম্বর মাসে শাদ রাজিকে ভারতে পাঠায় সংগঠন। বৈধ নথি ছাড়াই ভারতের মাটিতে পা রেখে কেরলে চলে যায় শাদ। আদ শাদ গ্রেফতারও হয়। এদিকে, কেরল থেকে কেরল থেকে মহম্মদ শাদ রাজি গ্রেফতার হতেই মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে ২ সন্দেহভাজন গ্রেফতার হয়েছে।
টানা তিন রাজ্যে চলেছে পর পর অভিযান। আনসার উল বাংলাটিম বিভিন্ন রাজ্যে জাল ছড়াচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল অসম পুলিশ। এরপরই অসম, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, এই তিন রাজ্যে গত ১৭ থেকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে অভিযান চালিয়ে, আনসার উল বাংলা টিমের মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপ রোখার বিশেষ মিশনকে সামনে রেখে গড়ে উঠেছে ‘অপারেশন প্রঘাত’। আর সেই অপারেশনের আওতাতেই পর পর গ্রেফতারি। এদিকে, হরিহরপাড়া থেকে যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। জানা যাচ্ছে, ভারতে সংগঠনের স্লিপার সেলকে সক্রিয় করতেই শাদকে পাঠানো হয়েছে। বাংলাটিমের চিফ জসিমুদ্দিন রহমানির ঘনিষ্ঠ ফারহান ইসরাক শাদকে ভারতে পাঠায়। ভারতে এসেই কেরল চলে যায় শাদ। সেখানে গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও, অসম ও পশ্চিমবঙ্গে একাধিকবার সে সফর করেছে। এদিকে, সদ্য শাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেখান থেকেও বহু তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
‘জি ২৪ ঘণ্টা’র রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় একাধিক বৈঠক করেছে শাদ। সেখানে কম বয়সী যুবকদের এবিটিতে নিয়োগ, অপারেশনাল ইউনিট তৈরি থেকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছে সে। এদিকে, মুর্শিদাবাদে শাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা যারা করেছিল, সেই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, তাদের একজন পাম্প মিস্ত্রি, অন্যতম ইমাম। শুধু শাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাই নয়, স্লিপার সেল তৈরির কাজেও তারা শাদ রাজিকে সাহায্য করেছে বলে জেরায় জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ বহু জেহাদি পত্র পত্রিকা, ডিজিটাল প্রমাণ পেয়েছে এই জঙ্গি কার্যকলাপ সংক্রান্ত। এছাড়াও বিস্ফোরক তথ্যে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তের একাধিক জনের সঙ্গে ধৃতদের কথা হত। তার প্রমাণও পেয়েছেন অফিসাররা। এদিকে, অসমে নুর ইসলাম মন্ডল ও মাজিবুররা স্লিপার সেল ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছিল বলে খবর। তাদের ২ জনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, নুর ও মুজিবুরেরও মুর্শিদাবাদে যাতায়াত ছিল।