হাওড়ার রামরাজাতলায় বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল একই পরিবারের ৩ জনের দেহ। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় রামরাজাতলার হাটপুকুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়দের ফোন পেয়ে পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে স্বামী - স্ত্রী ও তাঁদের একমাত্র ছেলের।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকায় বেশ মিশুকে ছিল গৃহকর্তা বলরাম খাঁ ও তাঁর স্ত্রী শেলি খাঁ। তাঁদের একমাত্র ছেলে সমিব্রত বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। প্রতিদিন সকালে আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে গল্প গুজব করতেন শেলিদেবী। এর পর পোস্ট অফিসে যেতেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে ফ্ল্যাটের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেন তাঁরা। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। এর পর পুলিশকে খবর দেন আবাসিকরা।
পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে একটি ঘরে মেঝেয় পড়ে আছে স্বামী - স্ত্রীর দেহ। অন্য ঘরে পড়ে আছেন সমিব্রত। তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এর পর দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বিষপান করে আত্মঘাতী হয়েছেন তিন জন। কারণ মৃতদেহের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে দেখা গিয়েছে। পাশে পাওয়া গিয়েছে বিষের শিশি। তবে মৃত্যুর অন্যান্য সম্ভাব্য কারণও খতিয়ে দেখতেও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বলরামবাবু জীবন বিমা এজেন্ট ছিলেন। তাঁর স্ত্রী শেলিদেবী পোস্ট অফিসের এজেন্ট। রোজ পোস্ট অফিসে যেতেন তিনি। প্রত্যেকের সঙ্গে সদ্ভাব পরিবারের। আর্থিক অনটনের ব্যাপারেও শোনেননি কেউ। গোটা পরিবারের এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না পরিজনরা।