পারিবারিক জমি নিয়ে বিবাদ। তার জেরে মঙ্গলবার সাতসকালে রক্ত ঝরল মুর্শিদাবাদে। বোমাবাজিতে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। এদিন ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার অন্তর্গত আলিনগর গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম রফিকুল শেখ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। পুলিশকে দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: তাঁর কথাতেই ছোড়া হয় বোমা, কালীগঞ্জে নাবালিকা খুনে ধৃত সেই মূল অভিযুক্ত গাওয়াল
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই রফিকুল শেখের সঙ্গে তাঁর খুড়তুতো ভাইদের জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদ ফের চরমে ওঠে মঙ্গলবার সকালে। কথা কাটাকাটির মাঝেই শুরু হয়ে যায় বোমাবাজি। অভিযোগ, রফিকুল শেখকে টার্গেট করে বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত দেহ রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখে ছুটে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। সকাল থেকেই ছিল টান টান উত্তেজনা। এরপর রফিকুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামে শুরু হয় বিক্ষোভ। খবর পেয়ে নওদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি সামলাতে বেগ পেতে হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরও বিশাল পুলিশ বাহিনী।
অভিযোগ, দেহ তোলার সময় বাধা দেওয়া হয় পুলিশকে। দীর্ঘক্ষণ ধরে মৃতদেহ ঘিরে চলে বিক্ষোভ। সকাল ১১টা পর্যন্ত রফিকুলের দেহ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। উত্তেজিত বাসিন্দারা দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি তোলেন। তারা প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে গ্রামে এত বোমা মজুত হল? কোথা থেকে এল এই বিস্ফোরক? অবশেষে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে রফিকুলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। যদিও একজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই মৃত্যুর নেপথ্যে কেবল জমি বিবাদ, না কি রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে চাপা উত্তেজনা। গ্রামে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।