পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা। একের পর এক পর্যটককে গুলি করে হত্য়া করেছে জঙ্গিরা। গোটা ঘটনাকে ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। এদিকে এসবের মধ্য়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে একটা পোস্ট করেছিলেন। একেবারে ঠিকানা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছিলেন, দুজন কাশ্মিরী যুবক এখানকার আবাসনে রয়েছেন। তারা এক আবাসনের ছাদে অ্যান্টেনা বসিয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু। লোকাল কনটাক্ট মারফৎ তিনি এই খবর পেয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
শুভেন্দু পুলিশকে এনিয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য় অনুরোধ করেছিলেন। এরপরই পুলিশ কার্যত নড়েচড়ে বসে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি বৃহস্পতিবার এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। কী জানালেন তিনি?
তিনি জানিয়েছেন, সোশ্য়াল মিডিয়া এক্সের মাধ্য়মে আমরা খবর পেয়েছিলাম যে দুজন কাশ্মিরী বাস করছেন আবাসনে। তারা হাই ফ্রিকোয়েন্সি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন বলে দাবি করা হয়েছিল। তারা সন্দেহজনক কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল। আমরা এই তথ্য় পাওয়ার পরেই আমরা সরাসরি তাদের দুজনকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। আমরা প্রাথমিক তদন্ত চালিয়েছি। এরপর জানা গিয়েছে তারা দুজনে মধ্য়প্রদেশের বাসিন্দা। একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আর একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। উভয়ই গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন ভূপাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ২০১৬ সালে। এক বছর আগে তারা কলকাতায় আসেন কাজের সন্ধানে। এরপর ৪ এপ্রিল তারা ভাড়া নেন ওই আবাসনে। এর আগে তারা এক বছর ধরে কলকাতায় থাকেন। তাদের একটা ব্যবসার প্ল্যান ছিল। সেকারণে তারা বিষ্ণুপুরে ৯ একর জমি কেনে মাছ চাষের জন্য। এরপর আরও জানতে চাওয়া হয় তাদের কাছে। তারা জানিয়েছে তাদের আধার কার্ড ডিটেলস নেওয়া হয়েছে। এরপর দেখা গিয়েছে তারা যেটা বলছে সেটা সত্যি। দয়া করে কোনও ভুয়ো খবর ছড়াবেন না। আমরা সবসময় আমাদের সঙ্গে আছি। আগে কনফার্ম করে তারপর খবর করুন। সংবেদনশীল কোনও খবর করবেন না। কারণ তাতে বড় প্রভাব পড়তে পারে। যারা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানিয়েছেন পুলিশ কর্তা।
কী লিখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী?
স্থানীয় কনট্যাক্ট মারফত খবর পেয়েছি দুজন কাশ্মিরী এখানকার আবাসনে রয়েছেন। তারা ন্যানো বিম ২ এসি কম্প্যাক্ট ও হাই পারফরম্যান্স ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক সিস্টেম লাগিয়েছেন ছাদে। সন্দেহজনক কিছু হচ্ছে কি না তা নিয়ে খোঁজখবর করার অনুরোধ করেছিলেন শুভেন্দু। তবে তার জবাবও দিয়েছিলেন তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য। তবে পুলিশ অবশ্য় সন্দেহজনক কিছু পায়নি বলেই খবর।