পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের হত্যা করার ঘটনায় গোটা দেশ তেতে উঠেছে। নির্মমভাবে গুলি করে জঙ্গিরা হত্যা করেছে পর্যটকদের। আর তাতেই শান্ত শুভ্র ভূস্বর্গ রক্তাক্ত হয়ে যায়। হাহাকার নেমে আসে একের পর এক পরিবারে। এবার জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে ভারত সরকার জানিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার গেটে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পোড়ালেন বিজেপি বিধায়করা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি দেশবিরোধী স্লোগান তুলেছেন দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন শুভেন্দু। যা নিয়ে তাঁকে চরম খোরাক করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য। সুতরাং চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেতা, পুরুলিয়ায় বিড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠপাট
এই হত্যাকাণ্ডে বাংলার তিনজন নাগরিক মারা যান। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা জারি রয়েছে সর্বত্র। এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের পাল্টা জবাব না দিলে শান্তি নেই। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। এই আবহে ভারত সরকারের ব্যর্থতা উঠে আসছে। এই আবহে আজ বিধানসভার গেটে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান দেন, ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ।’ এই ভিডিয়ো পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট নিয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্য লিখলেন, ‘পুরো তার কেটে গেছে লোকটার! ওকে নাকি কে খবর দিয়েছে যে দুজন কাশ্মীরের লোক বারুইপুরের এই ঠিকানায় থাকছে। তারা নাকি ন্যানো বিম ইন্সটল করেছে!! প্রথমত কাশ্মীর ভারতের অংশ। একজন কাশ্মীরি দেশের অন্য কোনো প্রান্তে থাকা কোনো অপরাধ নয়। বরং যারা এটাতে নাক উঁচু করছেন তারা পাকিস্তানের দাবিকেই মান্যতা দিচ্ছেন... যাই হোক... আসল কথায় ফিরি।’

কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে শুধু ধরে ধরে হিন্দুদের হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করল বিজেপি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভার গেটে পাকিস্তানের পতাকা পোড়ালেন বিরোধী দলনেতা। আর বললেন, ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ।’ আর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন, বারুইপুরে থাকা কাশ্মীরি সদস্যরা নাকি ‘ন্যানো বিম ইনস্টল’ করেছে। সেটা নিয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ন্যানো বিম কী? ন্যানো বিম হল এমন একটি নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে অনেক দূরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট কন্টাক্ট এস্ট্যাবলিশ করা যায় কোনো নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার ছাড়াই। এগুলো সাধারণত অপরাধীরা ব্যবহার করে থাকে, নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য। কিন্তু শুভেন্দুবাবু এটা কিসের ছবি দিয়েছে জানেন?’
এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম খেউর শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ বিরোধী দলনেতা যে ছবি দিয়েছেন তার সঙ্গে যে দাবি করেছেন দুটোর মধ্যে বিস্তর ফারাক। সেটাই তুলে ধরেছেন দেবাংশু। সুতরাং পর পর ফুলটস বল করছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। আর সেগুলি ওভার বাউন্ডারি করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বলে মনে করা হচ্ছে। তাই দেবাংশু ভট্টাচার্য তার এক্স হ্যান্ডেলের শেষে লিখেছেন, ‘হাসবেন না বলুন? ন্যানো বিম বলে যেটার ছবি দিয়েছে ওটা জিও ফাইবার প্লাসের ইন্টারনেট রিসিভার।’