এবার ডাকাতির ঘটনায় নাম জড়াল এক বিজেপি নেতার। খোদ বাংলার বুকে এমন কাণ্ড ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ বাংলায় বিজেপি প্রধান বিরোধী দল। এই দলের নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের উপর নানা অভিযোগ তোলে। সেখানে বিরোধী দলের এক নেতার বিরুদ্ধেই ডাকাতি করার পিছনে হাত থাকার অভিযোগ উঠল। পুরুলিয়ায় এই ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হলেন ওই বিজেপি নেতা। এই ঘটনা এখন প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির। যদিও এই নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।
এদিকে আয়কর অফিসারের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে পুরুলিয়ার কোটশিলার এক বিড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার কিনারা করতে তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ। তদন্তে কয়েকটি জায়গায় গিয়ে বেশ কিছু তথ্য চলে আসে পুলিশের হাতে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতওয়ালি থানার রাজাবাজার এলাকা থেকে বিজেপি নেতা পরাণ মাহাতোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুরুলিয়া জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যে নেতা সততার কথা বলতেন সবাইকে সেই কিনা ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত! অবাক লাগলেও গ্রামের মানুষজন আতঙ্কিত।
আরও পড়ুন: লিভ–ইন পার্টনারের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে খুন যুবক, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা নিউটাউনে
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এই ডাকাতির ঘটনার মূল পান্ডা সিআরপিএফ জওয়ান পরেশ দাস। সে রাঁচির বাসিন্দা। ছুটিতে এসে সে এই ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত হন। আর তাকে সাহায্য করেন বিজেপি নেতা পরাণ মাহাতো। অভিযুক্ত বিজেপি নেতা কোটশিলার বামনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মহিম কুমারকে দায়িত্ব দেন এলাকা থেকে কোটিপতি ব্যক্তির বাড়ির খোঁজ দিতে। তারপরই বিড়ি ব্যবসায়ী কিরীটি কুমারের বাড়ির খোঁজ দেয় মহিম কুমার। তারপরই তৈরি হয় প্ল্যান। এই কাজে সাহায্য করেন সমীর রায়। ঝাড়খণ্ডের আততায়ীদের যাবতীয় তথ্য পাঠানো হয়। বিজেপি নেতা পরাণ মাহাতো এবং পরেশ দাসের যৌথ পরিকল্পনায় তৈরি হয় ডাকাতির নীল নকশা। সেই অনুযায়ী ডাকাতি করে পালিয়ে যায় আততায়ীরা।
এছাড়া ঝাড়খণ্ডের রাঁচি জেলার নানা জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন রাঁচি জেলার বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান পরেশ দাস, কপিল দেব মাহাতো, সুরজ কুমার মাহাতো, খুশবু মণ্ডল এবং কোটশিলা থানা এলাকার সমীর রায়, মহিম কুমার এবং মাসুম খান। তাঁদের দফায় দফায় জেরা করা হয়। তখনই বিজেপি নেতার নাম বেরিয়ে আসে। এই ডাকাতির ঘটনার মূল পান্ডা হিসেবে জেলা বিজেপির প্রাক্তন সম্পাদক পরাণ মাহাতোকে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।