আজ, বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে গরিব মানুষজনকে জমির পাট্টা বিলি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে বরাবর তিনি গরিব মানুষজনকে প্রাধান্য দিয়েছেন। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে তিনি লড়াই করেছিলেন গরিবের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে। যা মাইলফলক হয়ে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই আন্দোলনের জেরেই ১৮৯৪ সালের পাশ হওয়া জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় আইনে সংশোধন করা হয়। আজ বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ফের জানিয়ে দিলেন, পুনর্বাসন না দিয়ে কোনও গরিবকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন উচ্ছেদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাফ কথা বলেন, ‘রেল, জাতীয় সড়ক বা বিমানবন্দর নির্মাণের জন্যও গায়ের জোরে বাংলায় জমি দখলের চেষ্টা হলে স্থানীয়রা আন্দোলন গড়ে তুলুন। রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে থাকবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আড়াই লক্ষ মানুষকে পাট্টা দিয়েছে। মেদিনীপুরের খাসমহলে দীর্ঘদিন ধরে বহু মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের জমির অধিকার ছিল না। খড়গপুর গ্রামীণ ও শহর মিলিয়ে ১ লক্ষ লোককে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। আগে পাহাড়ে পাট্টা দেওয়া হতো না। এখন সেখানেও পাট্টা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।’
ঠিক কী বললেন পুনর্বাসন নিয়ে? উচ্ছেদ–পুনর্বাসন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, ‘আজও বিধানসভায় শুনলাম উড়ালপুল বা জাতীয় সড়কের জন্য জোর করে জমি নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পাণ্ডবেশ্বরে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি তাই আবারও বলছি, আলোচনা না করে, পুনর্বাসন–ক্ষতিপূরণ না দিয়ে গরিবের জমি নেওয়া যাবে না। বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করতে দেব না। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁরা তো চুক্তি মতোই এসেছেন। সুতরাং তাঁরা সবাই ভারতের নাগরিক। কখনও কখনও ভাঁওতা দেওয়ার চেষ্টা হয় যে তাঁরা নাগরিক নন। আরে আমার ভোটে তুমি প্রধানমন্ত্রী, আর আমাকেই বলছ আমি নাগরিক নই। আমাকে এই কথা বলে তোমরা কি অসম্মান করছ না?’