গত জুলাই মাসে লেক গার্ডেন্সে এক মহিলাকে বাড়িতে ঢুকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় সহকারী পুলিশ কমিশনারের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সেই মামলায় এমন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘আমার হাত ধরে প্যান্টের চেন খুলে দেয়…’,দিল্লিতে শ্লীলতাহানির মুখে বাঙালি নায়িকা!
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলার স্বামী একজন সরকারি আমলা। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৫ জুলাই। মহিলার অভিযোগ, তিনি রাতে কাজ থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময় এক মদ্যপ যুবক তাঁকে একা পেয়ে পথ আটকায় এবং তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘটেছিল রাত সাড়ে ১১ টার দিকে। সেই সময় রাস্তায় লোকজন সেভাবে ছিল না। ফলে ভয় পেয়ে যান মহিলা। যুবকের এমন কাণ্ডে চিৎকার চেঁচামেচি করেন মহিলা। পরে কোনওভাবে সেখানে থেকে তিনি পালাতে সক্ষম হন। কিন্তু, এর পরের দিন ঘটে আরও বিপত্তি।
মহিলার অভিযোগ, পরের দিন ওই যুবক এবার তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হয়। এবার সঙ্গে নিয়ে আসে একটি বন্দুক। এরপর বাড়িতে ঢুকে কার্যত বন্দুক দেখিয়ে যুবক তাঁকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তার বাড়িতেও যুবক ভাঙচুর চালায়। পরে ঘটনায় মহিলা থানায় অভিযোগ জানান।
কিন্তু, তারপরেও পুলিশ পদক্ষেপ না করায় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। হাইকোর্ট বলেছে, তদন্ত একজন সহকারী কমিশনারের তত্ত্বাবধানে চালিয়ে যাওয়া উচিত। ২৩ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আরজি করে যেভাবে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন গোটা রাজ্যের চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে এবং হাসপাতালগুলিতে ডাক্তারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।