আদালত এই যুক্তিতে সহমত পোষণ করে এবং আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় প্রতিস্থাপনের অনুমতি দেয়। এই রায়ের ফলে এখন আইনি বাধা কেটে যাওয়ায় হাবিবুর সেই দাতার কাছ থেকে কিডনি গ্রহণ করতে পারবেন।
কলকাতা হাইকোর্ট
এক ব্যক্তির কিডনি প্রতিস্থাপনের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জীবন রক্ষার্থে তার স্ত্রীর করা আবেদনের ভিত্তিতে এই অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিংহের মন্তব্য, সুস্থ জীবন ধারণের অধিকার একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, যেহেতু রোগীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে, তাই জীবন বাঁচানোই এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা শেখ হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এই অবস্থায় তাঁকে কিডনি দিতে এগিয়ে আসেন মধ্যমগ্রামের এক ব্যক্তি, তিনি অবশ্য হাবিবুরের কোনও নিকটাত্মীয় নন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মেডিকেল রিপোর্টসহ তারা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জমা দেন। তবে স্বাস্থ্য দফতর কোনও কারণ না দেখিয়েই সেই আবেদন বাতিল করে দেয়। এরপরেই হাবিবুরের স্ত্রী শাহনাজ বেগম আদালতের দ্বারস্থ হন।
মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এবং গোপা বিশ্বাস আদালতকে জানান, মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী, আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ না থাকলে রক্তসম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। আদালত এই যুক্তিতে সহমত পোষণ করে এবং আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় প্রতিস্থাপনের অনুমতি দেয়। এই রায়ের ফলে এখন আইনি বাধা কেটে যাওয়ায় হাবিবুর সেই দাতার কাছ থেকে কিডনি গ্রহণ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, হাবিবুরের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসা ওই দাতা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আদালতের এই নির্দেশের ফলে স্বস্তিতে হাবিবুরের পরিবার।