আজ, রবিবার শুরু হয়ে গিয়েছে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। জেলা থেকে কমরেডরা আসতে শুরু করেছেন। এই সমাবেশের আয়োজক দলের শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর সংগঠন। সিপিএমের বক্তা তালিকায় শেষ মুহূর্তে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নাম দেওয়া হয়নি। তবে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ভরাতে এবার রসনাতৃপ্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। লোক টানতে খাবার লোভ দেখানো হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ বৃদ্ধ নেতাদের বক্তব্য শুনতে খুব যে ভিড় হবে তা মনে করছেন না কোনও পক্ষই। এই আবহে ব্রিগেড সমাবেশকে নিয়ে এবার সিপিএম এবং বিজেপিকে একসারিতে দাঁড় করিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ।
বামেদের ব্রিগেড হলেও সেখানে ভিড় জমাবেন বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা বলে কার্যত দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আজ, রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ শুরুর প্রাক্কালে ফেসবুক পোস্ট করলেন কুণালবাবু। সেখানেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আজ যাঁরা ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেবেন তাঁরা সেখান থেকে ফিরে এসে বিজেপিকে ভোট দেবেন। এই সংখ্যাটাই নাকি সর্বাধিক বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতার। বামের ভোট যে রামে ট্রান্সফার হয়েছে সেটা পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। তার উপর সিপিএম বঙ্গ–রাজনীতিতে শূন্যে নেমে আসার এটাও একটা বড় কারণ। সেটাই বুঝিয়েছেন কুণাল।
২০১১ সাল থেকে বিরোধী আসনে বসে বামেরা। সেখানে বড় শরিক সিপিএম এবং অন্য বাম দলগুলি একই সারিতে রয়েছে। উলটে বিরোধী তকমাও ভালভাবে নেই। কারণ দিন দিন শূন্যতায় পৌঁছে গিয়েছে। আর এখনও তা কাটেনি। ২০২৬ সালে যে বিধানসভা নির্বাচন বাংলায় আছে তাতে শূন্যতা কাটবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। তবে এই যে ব্রিগেড সমাবেশ তা বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখানের বক্তা তালিকায় একমাত্র ‘পরিচিত’ নাম হিসাবে আছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আর কৃষকসভার অমল হালদার, ক্ষেতমজুর সংগঠনের নিরাপদ সর্দার, বন্যা টুডু, বস্তি উন্নয়ন সমিতির সুখরঞ্জন দে, সিটুর অনাদি সাহুরা কি বার্তা দেন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: সিকিম থেকে নাথু লা পর্যন্ত তুষারপাত, আটকে পড়েছেন পর্যটকরা, বরফে মোড়া প্রকৃতি
ঠিক কী লিখেছেন কুণাল? মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বক্তা তালিকায় না থাকলেও ব্রিগেড সমাবেশে গিয়েছেন। তার সঙ্গে দেখা গিয়েছে কলতান দাশগুপ্তকে। এই আবহে ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে কুণাল ঘোষ তুলোধনা করে ফেসবুকে লেখেন, ‘আবার বলছি, যাঁরা আজ সিপিএমের ব্রিগেডে যাবেন, বড় বড় কথা বলবেন, তাঁরা ৯৯ শতাংশই বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, দিচ্ছেন। সভায় সামান্য কিছু লোক দেখানোটা বড় কথা নয়, এঁরাই ফিরে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দেন। আগেও একাধিকবার এটা ভোটের অঙ্কে প্রমাণিত। ফলে, আজকের ছবির ক্যাপশন: মঞ্চ সিপিএমের, ভোটার বিজেপির। এটা মুখোশধারী রামবামের ব্রিগেড।’