শেষ পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিটিং হল না। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের প্রশ্নে ভেস্তে গেল মিটিং। লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি নন মমতা। তবে এদিন মুখ্য়মন্ত্রী বার বারই উল্লেখ করেন জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের জেরে ঠিক কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে রাজ্যে?
কোন্ননগরের বাসিন্দা বিক্রম ভট্টাচার্যের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মমতা বলেন, ছেলেটার ২টো পা দিয়ে রক্তের বন্যা, কেউ মায়া করেননি।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমিও চাই তিলোত্তমার বিচার পাক। কিন্তু গত একমাসে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ লক্ষের বেশি পরিষেবা পাননি। ২৫ হাজার মানুষের হার্ট অপারেশন আটকে। সেই সঙ্গেই কোন্ননগরের বিক্রমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি। মমতা বলেন, ছেলেটার ২টো পা দিয়ে রক্তের বন্যা বইছিল। কিন্তু কেউ মায়া করে এগিয়ে আসেননি। জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন মমতা।
শ্রীরামপুরের সাংসদ তৃণমূলের কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় আবার বলেন, যারা স্ট্রাইক করছেন তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়াটাই উচিত নয়।
কল্যাণ বলেন, চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য মৃ্ত্যু হয়েছে। ক্লিয়ার কাট। শুধু বিক্রম নয়, আরও মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তাররা কেন অমানবিক? আমরা চাই তিলোত্তমা বিচার পাক। তেমনি এই ক্ষেত্রেও ( রোগীর পরিবার) বিচার পাক।