রাজ্যে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের। এমনকী এই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সেটিং করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলায় বলে অভিযোগ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন দিন আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যের ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে কোর কমিটি গড়ে দেন তৃণমূলনেত্রী। এই কোর কমিটি এখন ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ধরার কাজ করতে পথে নেমেছে। স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে সবটা খতিয়ে দেখেছেন। এবার পাল্টা কর্মসূচি নিল দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপি। ভবানীপুর থেকেই কর্মসূচি শুরু করছে তারা।
মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের পর তড়িঘড়ি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে ছুটে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তবে নির্বাচন কমিশন মেনে নিয়েছে, একই এপিক নম্বরে দু’জন ভোটার থাকতেই পারে। কিন্তু তাদের ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বলা যাবে না। কারণ এপিক নম্বর এক হলেও বিধানসভা কেন্দ্র আলাদা। আর যে সমস্যা আছে সেটা অচিরেই মিটবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন মেনে নেওয়ায় ফাঁপরে বিজেপি। এখন তৃণমূল কংগ্রেস ‘স্ক্রুটিনি’র কাজ শুরু করেছে। সেই কর্মসূচির ‘পাল্টা’ বিজেপি নজরদারি করতে ভবানীপুর থেকে শুরু করছে।
আরও পড়ুন: চার হাজার নাগরিককে নিয়ে পিকনিক করলেন মেয়র, বাগডোগরার জঙ্গলে বসল আসর
সারা রাজ্যে করবার চেষ্টা করবে বিজেপি। তা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্দিহান সব পক্ষই। কারণ বিজেপির যা সংগঠনের হাল তা দিয়ে সারা বাংলায় নজরদারি করা তাও আবার শাসকদলের উপর বেশ চাপের। বিজেপির এই কর্মসূচির বার্তায় বলা হয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে কলকাতার একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস আশানুরূপ ফল না করতে পারেনি। এখন তারা তারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনি করছে। বিজেপি আশঙ্কা করছে, ওই স্ক্রুটিনির ‘মোড়কে’ বিরোধী ভোটারদের নাম কৌশলে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবে। তার জেরে বিরোধী ভোটাররা বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।