কোনও পরীক্ষা নেওয়া চলবে না। পরীক্ষা ছাড়াই ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের পুনর্বহালের দাবিতে অনড় রইলেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা। এসএসসি’র চাকরিহারারা প্রস্তাব দিয়েছেন সিবিআইয়ের উদ্ধার করা ওএমআর শিটের ভিত্তিতে তাঁদের ‘রিপ্যানেলিং’ করতে হবে। আর তাঁদের অভিযোগ, আদালত এই বিষয়ে সুবিচার দিতে পারেনি। তাই এবার আর শুধু আন্দোলন বাংলায় থেমে থাকবে না। আন্দোলন এবার হবে দিল্লিমুখী। আজ, সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে টানা দু’ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানালেন আন্দোলনকারী প্রতিনিধিরা।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারের তৈরি রিভিউ পিটিশনের খসড়ায় আপাতত সন্তুষ্ট চাকরিহারারা। আজ সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকের পর তাঁরা একপ্রকার স্পষ্ট করে এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তবে নতুন করে কেউ পরীক্ষায় বসবেন না বলেও তাঁদের অনড় সিদ্ধান্ত। বেশ কদিন ধরেই এই নিয়ে আন্দোলন চলছিল। রাজ্য সরকারকে বৈঠকের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই মতোই আজ বৈঠক হয়ে গেল। বৈঠকে আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সেগুলি প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে চাননি চাকরিহারারা।
আরও পড়ুন: পাঁচ বিলে স্বাক্ষর করলেন রাজ্যপাল, রাজভবন থেকেই ইডিকে তদন্তে সবুজ সংকেত
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে যায় এসএসসি’র ২০১৬ সালের প্যানেল। তার জেরে চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–অশিক্ষক কর্মী। গোটা প্যানেল বাতিল করে চলতি বছরেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও নতুন করে আর পরীক্ষা দিতে নারাজ চাকরিহারাদের একাংশ। ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে তাঁরা সরব হয়েছেন। এটা কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নিজেদের চাকরি ফেরাতে অনড় তাঁরা। তাই ওই দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এদিন তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার।
তাছাড়া বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনের নামে যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পৃথক নির্দেশ দিয়েছে। এই আবহে চাকরিহারারা আজ বৈঠক করলেও আন্দোলন এবার বাংলা ছাড়িয়ে রাজধানীর বুকে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা। বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের দাবি, ২২ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটের মিরর ইমেজের কপি প্রকাশ করতে হবে। এই ইমেজের কপি প্রকাশ হলে জানা যাবে, কারা দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে শিক্ষকতার চাকরি করেছেন। আর এবার আন্দোলন হবে দিল্লিমুখী।’