হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা সত্বেও আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তা তিনি নিম্ন আদালতকে জানাননি। সে কারণ আগে তাঁকে শোকজ করেছিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। আদালত নির্দেশ দেয়, হাজির হয়ে এর কারণ দর্শাতে হবে তাঁকে। শুক্রবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এসে ক্ষমা চাইলে জীবনকৃষ্ণ।
তাঁর উত্তরে আদালত সন্তুষ্ট না হলে তাঁকে জরিমানাও করা হতে পারে বলে খবর ছিল। বড়ঞার বিধায়ক ক্ষমা চাইলেও এদিন আদালত তাঁকে এক হাজার টাকা জরিমানা করে।
(পড়তে পারেন। Kuntal Ghosh Case: স্বস্তি কুন্তলের! ইডি বিরুদ্ধে জেলা জজের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন, বলল SC)
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। নিয়োগ দুনীর্তির তদন্ত করতে গিয়ে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন প্রচুর তথ্য আসে সিবিআই-এর হাতে। তাঁর মুর্শিদাবাদাদের বাড়িতে প্রায় ৬৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রচুর নথিও উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশির সময় নাটকীয় পরিস্থিতির তৈরি হয়। নিজের মোবাইল পুকুরে ফেলে দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন। তিনদিন ধরে সেই ফোন খোঁজা চলে। সিবিআই-এর দাবি টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষকের চাকরি করে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ।