সিকিমের বোজঘরির তিন মাইল এলাকায় ধস নেমেছে বলে খবর। স্থানীয় একটি পেট্রল পাম্পের পাশেই পার্কিং করা ছিল একটি চারচাকা গাড়ি। এই ধসের জেরে যার উপর আচমকাই পাহাড় থেকে বড় বড় পাথর গড়িয়ে পড়ে। তাই ওই গাড়ির সামনের এবং পাশের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাতেই বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। সিকিমে ধস নামার জেরে পর্যটকদের সমস্যা হচ্ছে এবং কিছু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর মিলেছে। বিশেষ করে, পেলিং যাওয়ার পথে চার মাইল এলাকায় ধস নেমেছে। যার জেরে বেশ কিছু পর্যটক আটকে পড়েছে এবং সিকিমের এনএইচপিসি তিস্তা স্টেজ ফাইভ পাওয়ার হাউসেও ধস নেমেছে। যা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ক্ষতি করেছে বলে খবর।
এদিকে এপ্রিল মাসেই ধস–বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তর সিকিম। নতুন করে কিছু এলাকায় নেমে ছিল ধস। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে বিস্তীর্ণ এলাকায় আটকে পড়েছিল পযর্টকরা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয় যে লাচেন, লাচুং, ছাঙ্গু–সহ একাধিক এলাকায় পর্যটকদের উদ্ধারে নেমেছিল সেনা। মে মাসেও প্রায় একইরকম ঘটনা ঘটল। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনার সময় গাড়িটিতে কেউ উপস্থিত না থাকায় কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। মনে করা হচ্ছে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি ফলে পাহাড়ের ঢালে মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় এই ধস দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: হতাশায় কি ভুগছিলেন সৃ্ঞ্জয়? উঠে আসছে নেশা করার তথ্য! তদন্তে নেমেছে পুলিশ
অন্যদিকে পর্যটকদের অনেককে এখানে বেড়াতে এসে ভিড় জমিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার কাজের প্রয়োজন থাকলে তা দ্রুত করা হবে। সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে পর্যটকরা ওখানে না যান। তবে কদিন প্রবল বৃষ্টি এবং ধসের জেরে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রুটে পর্যটকরা আরও চলে এলে নতুন করে বিপদের মধ্যে পড়তে পারেন। তাই আপাতত এখানে কাউকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই রুট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। আটকে থাকা পর্যটকরা সুরক্ষিত আছেন। তাঁদের ইতিমধ্যেই নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এছাড়া এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। এখন এলাকা নিরাপদ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। রাস্তায় ধস নেমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। এই ঘটনার জেরে ধাক্কা খেতে পারে সিকিমের পর্যটন। উত্তর সিকিম, বিশেষ করে চুংথাং–লাচেন রুটের রংমা রেঞ্জ এলাকায় ধস নেমেছে। সেখানে বৃষ্টির দাপট রয়েছে। বর্ষা এসেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তার জেরে ব্যাপক ধস নেমেছে। দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির উপর বড় বড় পাথর এসে পড়েছে। গাড়ির সামনের অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।