এখন সংঘর্ষ বিরতি চলছে। সীমান্তে রাত কেটেছে বিনা গোলাগুলিতে। কিন্তু পাকিস্তান পহেলগাঁওয়ে যে নির্মমভাবে ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল সেটা ভারত আজও ভুলতে পারেনি। পাক অধিকৃত কাশ্মীর–সহ পাকিস্তানে পাল্টা আক্রমণ করে ভারত জঙ্গি নিধন থেকে শুরু করে ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সেনাবাহিনীর এই জবাবে দেশ এখন তাঁদের স্যালুট করছে। এই আবহে পাকিস্তানের হেফাজতে সুস্থ রয়েছেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ বলে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, বিএসএফের ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিবারটির সঙ্গে প্রথম দিন থেকে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রেখে চলেছি। এবার উত্তরপাড়ায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সতীশ দুবে জানিয়ে দিলেন, পূর্ণমকে ছাড়িয়ে আনা হবে।
এদিকে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখন দাবি তুলেছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর এখনই দখল করে নেওয়া উচিত। দু’দেশের সংঘর্ষবিরতির ক্ষেত্রে আমেরিকার নাক গলানো নিয়েও রাজনৈতিক বিতর্ক জারি আছে। এই আবহে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘ওনার বাবা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আজকে বিএসএফের ডিজির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিএসএফের ডিজি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে। ওনাদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছেন। উনি সুস্থ আছেন।’ আর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সতীশ দুবে সুর চড়িয়ে বলেছেন, ‘গতকাল দুই দেশের ডিজিএমও’র মধ্যে হটলাইনে কথা হয়েছে। অভিনন্দনের মতো পূর্নমকেও ছাড়িয়ে আনা হবে।’ আর এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট সহজে পূর্ণমকে ছাড়বে না পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ‘নিশ্চয়ই পাক অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের হাতে আসা উচিত’, স্পষ্ট বার্তা দিলেন রচনা
অন্যদিকে যখন পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারতের তখন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে লিখেছিলেন, এখনই উপযুক্ত সময় পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করে নেওয়ার। তারপরই দেখা যায়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একের পর এক জবাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এবার এই পূর্ণম কুমার সাউকে নিয়ে কয়লা ও খনি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘অভিনন্দনের মতো পূর্নমকেও ছাড়িয়ে আনা হবে। সেই দিন দেখার জন্যই বসে আছে পূর্নমের গোটা পরিবার।’
আজও তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সোপিয়ানে তারা ঢুকে নাশকতা করার ছক কষেছিল বলে খবর। রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউকে এখনও ছাড়েনি পাকিস্তান। এই নিয়ে রোজ চর্চা হচ্ছে বাংলায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে চেষ্টা করছেন। আজ বিজেপির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরপাড়ায় আসেন সতীশচন্দ্র দুবে। এই বিষয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব তিনি যেন তাড়াতাড়ি ছাড়া পান। ভারতবর্ষে যেন শান্তি ফিরে আসে। আমরা কেউই যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই মানুষ ভাল থাকুক। সবাই শান্তিতে থাকুক। এই আশায় আছি তাঁকে যেন তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়।’