শারীরিক কারণে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ‘সাময়িক বিরতি’ নিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যে শারীরিক সমস্যা চলছে, সেটার কারণে আমি সংগঠন থেকে সংক্ষিপ্ত বিরতি নিচ্ছি।’ যদিও ঠিক কী শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তা খোলসা করে বলেননি অভিষেক। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর চোখে সমস্যা আছে। সেজন্য অস্ত্রোপচারও করিয়েছেন। ফের চোখেই কোনও সমস্যা হচ্ছে নাকি অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে, তা জানাননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
যদিও লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরে তিনি যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জনসমক্ষে এসেছিলেন, তখন তাঁকে কিছুটা বিধ্বস্ত লাগছিল। চোখে-মুখে একটা ক্লান্তির ছাপ ছিল। সেইসময় মনে হয়েছিল, দীর্ঘদিন ধরে যে হাড়ভাঙা খাটুনি হয়েছে, সেটার কারণে হয়ত এরকম লাগছে অভিষেককে। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে গিয়ে প্রচার করেছিলেন। তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি সাজিয়েছিলেন। সেটারই ছাপ পড়েছে শরীরে।
'সাময়িক বিরতির' নিলেও মানুষের মধ্যেই থাকবেন অভিষেক
অভিষেক জানিয়েছেন, 'সাময়িক বিরতির' সময় তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজ থেকে দূরে থাকলেও মানুষের মধ্যেই থাকবেন তিনি। সাধারণ মানুষ কী সুবিধা পাচ্ছেন, কী অসুবিধা আছে, কোথায়-কোথায় উন্নতির প্রয়োজন আছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করবেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘আমাদের মানুষ এবং বিভিন্ন শ্রেণির কী চাহিদা, সেটা আরও ভালোভাবে বোঝার ক্ষেত্রে এই সাময়িক বিরতির সময়টা আমার কাছে একটি নয়া সুযোগ হতে চলেছে।’
নবজোয়ার কর্মসূচি এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থ বৃদ্ধি
যদিও সেই বিষয়টি তাঁর কাছে নতুন নয় বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছেন, গত বছর যখন তিনি নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন সাধারণ মানুষের কী কী সমস্যা হচ্ছিল, তা একেবারে নিজের চোখে দেখতে পেয়েছেন। বিশেষত লাগাতার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য অর্থ না দেওয়ার ফলে তাঁদের যে কতটা সমস্যা হচ্ছিল, তা অনুভব করতে পেরেছিলেন। তারপরই মানুষের স্বার্থে তৃণমূল রাস্তায় নেমেছিল। আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অনুদানের অঙ্কটা বাড়ানো হয় বলে জানিয়েছেন অভিষেক।
ডিসেম্বরের মধ্যে আবাসের টাকা, আস্থা অভিষেকের
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ২৯টি আসনে জেতানোয় সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ দিয়ে অভিষেক জানিয়েছেন যে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাস যোজনার টাকা দিতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। সেই বিষয়টির ক্ষেত্রে যাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, সেজন্য ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আর্জি জানিয়েছেন।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আমার আস্থা যে দ্রুত পদক্ষেপ করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যাঁদের প্রয়োজন আছে, তাঁদের সুবিচার প্রদান করতে কোনও কসুর ছাড়বে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার।’