
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
এর আগে আন্দোলনের চাপে কলকাতার নগরপাল সরাতে বাধ্য হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনীত গোয়েলের ছেড়ে যাওয়া সেই চেয়ারে বেশ কয়েকদিন হল বসেছেন মনোজ বর্মা। দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি বিভিন্ন থানায় ঘুরে পুলিশের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করেছেন। সঙ্গে বিভিন্ন হালপাতালে গিয়ে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। আবার উৎসবের মরশুমে আগামী ২ মাসের জন্যে শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মিটিং-মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কার্যকর করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা (পূর্বতন ১৪৪ ধারা)। যেখানে বলা হয়েছে, পাঁচজনের বেশি মানুষের জমায়েত করা যাবে না। তবে এত কিছুর মাঝেও মহালয়ার প্রাক্কালে শহরে বিশাল মিছিল বেরিয়েছে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। হয়েছে রাত দখল। এই আবহে দেবীপক্ষ শুরু হতে না হতেই পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ৪টি নির্দেশিকা জারি করা হল কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। (আরও পড়ুন: দেবীপক্ষের প্রাক্কালে মেয়েদের 'গায়ে হাত', আরজি কর প্রতিবাদ মিছিলে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে)
আরও পড়ুন: মহালয়ার দিন ভোর হতে না হতেই বৃষ্টি কলকাতায়, আজ বাংলার আবহাওয়া কেমন থাকবে?
নগরপাল মনোজ বর্মার স্বাক্ষরিত নির্দেশিকাগুলির মধ্যে একটি হল পেয়িং গেস্ট সংক্রান্ত। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে কেউ নিজের ঘর ভাড়া দিতেই পারেন। কিন্তু সেই ভাড়াটের পরিচয় সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে চাইতে পারে পুলিশ। এই আবহে কেউ যদি নিজের ঘর পেয়িং গেস্টদের ব্যবহারের জন্য দিলে তা লিখিত আকারে স্থানীয় থানাকে জানিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও সাইবার কাফে পরিচালনা নিয়েও একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষা করার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন মনোজ। পাশাপাশি একটি নির্দেশিকা জারি করে দাবি করা হয়েছে, কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় হিংস্র কার্যকলাপের সম্ভাবনার খবর রয়েছে পুলিশের কাছে, তাই সেখানে ১৬৩ ধারা জারি করা হচ্ছে।
১৬৩ ধারা জারির নির্দেশিকায় পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, গোপন সূত্রে তারা নাকি খবর পেয়েছে যে আগামী কিছু দিনে বেশ কিছু মিছিল, সমাবেশ রয়েছে যার জেরে শান্তিভঙ্গ হতে পারে। তাই শান্তি বজায় রাখতে ওই সকল এলাকায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে ২ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ময়দান থানার আওতায় থাকা প্রেস ক্লাব চত্বর, নিউ রোড এবং মেয়ো রোড ক্রসিং, খিদিরপুর ক্লাব এবং বিধান মার্কেটের মাঝের রাস্তা এবং মেয়ো রোডের উত্তরের ফুটপাথ, হেয়ার স্ট্রিট থানার অন্তর্গত ফেয়ারলি প্লেস এবং ইন্ডিয়ান এক্সচেঞ্জ, শহিদ ক্ষুদিরাম বসু সরণি এবং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, ব্রাবোর্ন রোড, ডালহৌসি, ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিট, স্ট্র্যান্ড রোড এবং লালবাজার চত্বরে কোনও ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports