আসন্ন দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে ঝাড়গ্রাম জেলা পর্যটন শিল্পের জন্য ইতিমধ্যেই উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। কাশ্মীর ও উত্তরাখণ্ডের অস্থির পরিস্থিতি এবং ভিন রাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থার কারণে এবার অনেক বাঙালি পর্যটকরা রাজ্যের বাইরে ভ্রমণ কমাতে চাইছেন। সেই সুযোগ ধরেই ঝাড়গ্রাম এবার পুজোর নতুন পর্যটন গন্তব্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোকে ঘিরে রাস্তা আটকে চাঁদা আদায় রুখতে কড়া পদক্ষেপ কলকাতা পুলিশের
জেলার হোটেল, রিসর্ট, লজ এবং হোমস্টে ইতিমধ্যেই এক মাস আগেই বুকিং হয়ে গিয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর ছুটিতে ঝাড়গ্রামের অরণ্য, পাহাড়, নদী ও টিলার মাঝে সময় কাটানোর জন্য পর্যটকরা আসেন। শহর ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঝাড়গ্রামে ছুটে আসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
গত কয়েক বছরে ঝাড়গ্রামে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটন পরিকাঠামোও উন্নত হয়েছে। জঙ্গল মহল জুলজিক্যাল পার্ক, চিল্কিগড়ের রাজবাড়ি, চিল্কিগড় ব্লকের কনকদুর্গা এবং গোপীবল্লভপুরের রামেশ্বর মন্দির নতুন করে সাজানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে টাইগার সাফারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকরা ঋতুভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্থানীয় খাবারের অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। ঝাড়গ্রাম হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর সময় জেলার পর্যটক সংখ্যা বিপুল হবে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ হোটেল, রিসর্ট ও হোমস্টে বুক হয়ে গিয়েছে। নতুন পর্যটকদের জন্য সরকারি পর্যটন নিবাসও সংস্কার করা হচ্ছে। পর্যটকদের একাংশের বক্তব্য, ইতিহাসের সাক্ষী ঝাড়গ্রাম। তাই সেখানে সময় কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে জেলা পর্যটন ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও লোকসংস্কৃতির প্রদর্শনী আয়োজন করছেন। পঞ্চমীর দিন মহাসমারোহে জেলা পর্যটন দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পর্যটকরা শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্যই নয়, ঝাড়গ্রামের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও অনুভব করতে পারবেন।