
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বিবাদ চলছিল পুরভোটের সময় থেকেই। তার জেরেই তৃণমূলের বর্তমান কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে গ্রেফতার হলেন দলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলর। এই ঘটনায় আরও ২ তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরের বিশৃঙ্খলা ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল বলে দাবি বিজেপির।
রবিবার আসানসোল পুরনিগমের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে কুলটির নিচুপাড়া এলাকায় তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি জামির কুরেসির বাড়ির সামনে রান্নার বড় বড় বাসন রেখে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর আখতার হোসেনের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এর ফলে বাড়িতে যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছিল বলে জামিরের। সেকথা তিনি বর্তমান কাউন্সিলর নাদিম আখতারকে জানান তিনি। কাউন্সিলর পুলিশকে জানিয়ে বাসনগুলি সেখান থেকে সরান। অভিযোগ, এর পরই প্রাক্তন কাউন্সিলরের দলবল জামির ও নাদিমের ওপর হামলা চালায়। তাদের বাড়িতে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী পেট্রল বোমা ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর প্রাক্তন কাউন্সিলর আখতার ও তার ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন আখতার। নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে যান নাদিম। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে ফেরেন তিনি। এর পর বিবাদ চরমে পৌঁছয়। নাদিমের দাবি, আখতার ও তার দলবল দলবিরোধী কাজে যুক্ত। তাই ভোটে হার হয়েছে তাঁর।
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তবে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূলের এলাকা দখলের লড়াই এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে পায়ে পা লাগিয়ে মারামারি করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতির জন্যই এরা এত সাহস পাচ্ছে। আর তার ফল ভুগছে সাধারণ মানুষ।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports