মোটা টাকা দিয়েও চাকরি হয়নি। ফেরত মেলেনি টাকাও। নাগালে পেয়ে হিসাব বুঝতে ২ তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক পেটাল চাকরিপ্রার্থীরা। সঙ্গে যোগ দিলেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ঘটনা।কালিয়াগঞ্জের বিরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের শাকধুয়া জামবাড়ি গ্রামের মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। চাকরিপ্রার্থী যুবকদের অভিযোগ, ভদ্রু বর্মন ও তিলক দাস নামে ২ যুবক চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন। কিন্তু কারও চাকরি হয়নি।মঙ্গলবার রাতে বিধায়ক সৌমেন রায়ের কার্যালয়ে ভদ্রু ও তিলককে ধরে ফেলেন চাকরিপ্রার্থী যুবকরা। এর পর টেনে রাস্তায় বার করে চলে উত্তমমধ্যম। সঙ্গে যোগ দেন কয়েকশ গ্রামবাসী। মারধর খেয়ে ২ তৃণমূল নেতার অবস্থা যখন কাহিল খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুব্রত সরকার। তিনি টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলে এযাত্রায় প্রাণে বাঁচেন ২ তৃণমূল নেতা।সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, বিধায়ক আমাকে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমি নিজেদের মধ্যে কথা বলে মিটিয়ে নিতে বলেছি। মারামারি করে সমস্যার সমাধান হবে না। এই নিয়ে মার খাওয়া ২ তৃণমূল নেতা কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।