রামনবমীর আগের দিন নদিয়ার রানাঘাটে দাঁড়িয়ে রাজ্যের হিন্দুদের ফের একজোট হওয়ার ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে এদিন রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হলেন তিনি। এদিন রানাঘাটে রামনবমী উপলক্ষ্যে মেলার সূচনা করেন শুভেন্দু। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাংলাদেশে সম্প্রতি হিন্দুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনার কথাও স্মরণ করান তিনি।শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘এই তো কদিন আগে ইদ পালিত হল। কোথাও কোনও সমস্যা হয়েছে? সমস্যা করার ইচ্ছাও কারও ছিল না। রামনবমীকে কেন্দ্র করে টিভি চ্যানেলগুলোকে খুললে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব কেন হবে? কেন পুলিশ প্রশাসনের তরফে দফায় দফায় শর্ত আরোপ করা হবে? আমরা তো ধর্মপালনের জন্য রামনবমী উজ্জাপন করব। আপনাদের এত পীড়া কেন? আপনাদের এত বাধা কেন? আপনারা বাংলাদেশে বা এখানে কোনও হিন্দু আক্রান্ত হলে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করলে বা লাইক - শেয়ার করলে তাকে সাইবার ক্রাইম থেকে কেস দেন, ধমক দেন কেন? ফেক ভিডিয়ো হলে নিশ্চই ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু সত্যি হলে? বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত হলে আমি প্রতিবাদ করতে পারব না?’রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে হিন্দুদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন সনাতনী সংগঠনের ৫০ জন সদস্যকে ম্যাজিস্ট্রেটের নোটিশ পাঠানো হয়েছে, ১ লক্ষ টাকার বন্ডে সই করতে হবে। কালকে রামনবমীর জন্য। কেন এই দমন পীড়ন পশ্চিমবঙ্গে? কেন থানা থেকে লিখবেন ২ হাজারের বেশি মানুষ মিছিলে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এটা তো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। এটা হিন্দুদের উৎসব।’শুভেন্দুবাবুর প্রশ্ন, ‘আপনি অন্য ধর্মে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবেন? যেদিন CAAকে NRCর নাম করে হাজারদুয়ারি পোড়ানো হয়েছিল সেদিন কোথায় ছিল পুলিশ। বেলডাঙা - রেজিনগরে রেল স্টেশন পোড়ানো হচ্ছিল কোথায় ছিলেন পুলিশ? নবান্নর সামনে ৩৭টা সরকারি বাস পোড়ানো হচ্ছিল কোথায় ছিল পুলিশ? নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নাকাশিপাড়ায় হিন্দুদের দোকান ভাঙছিল কোথায় ছিলেন আপনারা? যত গাত্রদাহ হিন্দুদের কর্মসূচিতে? এগুলো করবেন না।’রাজ্যের সনাতনীদের প্রতি শুভেন্দুবাবুর আহ্বান, ‘আমরা সনাতনীরা নানা ভাগে বিভক্ত। এই সুযোগটা আমাদের যারা কাফের বলে তারা নিচ্ছে। আপনারা একজোট হোন। একজোট হলে আক্রমণ হবে। হিন্দুদের একজোট করার জন্য চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভূ জেলে গেছেন। এখানেও হিরন্ময় গোস্বামীর ওপর হামলা হয়েছে। আমরা অন্যদের আক্রমণ করি না। কিন্তু আমরা আক্রান্ত হলে মুখ বুজে সয়ে যাওয়ার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে।’