রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় জনবিন্যাসের পরিবর্তনের জেরেই কি লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল? প্রশ্ন তুললেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করে তিনি কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের ফলের উদাহরণ দিয়ে এই প্রশ্ন তুলেছেন। সঙ্গে রাজ্যের জনবিন্যাস পরিবর্তন ও অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুন - দুর্নীতি করে টাকা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের চাকরি ছাড়তেই হবে: সুকান্ত
পড়তে থাকুন - মমতার ঔদ্ধত্যেই রাজ্যে থমকে বন্দর তৈরির কাজ: জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর
মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে শংকরবাবু লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের থেকে মুক্তি পেতে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও ভরসা রেখেছেন। ফলাফলে তার ইঙ্গিত রয়েছে। ধরা যাক কুচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে।
এই লোকসভা কেন্দ্রের ২০৪৩টি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে ১৬০টি এমন বুথ রয়েছে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ১ লক্ষ ৬ হাজারের বেশি। আর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৬ হাজারের কাছাকাছি। অর্থাৎ এখানে মার্জিন দাঁড়িয়ে যায় প্রায় ১ লক্ষ।
২০৪৩টি বুথের বাকি যে ১৮৪৩ টি বুথ রয়েছে সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী ৬০ হাজারেরও বেশি মার্জিনে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও এই বিশেষ ১৬০ টি বুথে তার ৬০ হাজারের ব্যবধানকে মুছে দিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী ৪০ হাজারের কাছাকাছি ভোটে জয়ী হয়েছেন।'
শংকরবাবুর প্রশ্ন, 'এই বিশেষ ভোটিং প্যাটার্নের কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জয় হচ্ছে কিনা লোকসভা ধরে ধরে নিশ্চিতভাবে ব্যাখ্যা পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। জনবিন্যাসগত পরিবর্তন, অনুপ্রবেশ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ফলাফলে কি প্রভাব ? দরকার যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনা।'
আরও পড়ুন - অপহরণ, মারধর, হুমকিসহ একাধিক অভিযোগ, সোহমের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে বিজেপি
এই বিষয়ে শংকরবাবু হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘শুধু কোচবিহার নয়, রাজ্যের একাধিক লোকসভা কেন্দ্রে এই ধরণের প্রবণতা দেখা গিয়েছে। রাজ্যের মুসলিমরা দুর্নীতি, পুলিশি নির্যাতন, বেকারত্ব, চোরাচালান, অব্যবস্থার মতো ইস্যুগুলিকে ভুলে ভোট দেওয়ার সময় তোষণকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। যদিও হিন্দুসহ বাকি সম্প্রদায়গুলি এই ইস্যুগুলিতে স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই জন্যই রাজ্যের একাংশের জনবিন্যাস পরিকল্পিতভাবে বদল করা হয়েছে কি না ভাবতে হবে তা নিয়েও।’