আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা রাজ্যের মানুষ গর্জে উঠেছেন। ৮ থেকে ৮০, সবাই পথে নেমেছেন এই নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে। অবশ্য শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশেই এই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই আবহে প্রতিবাদে সম্প্রতি মৌন মিছিল করেছিল কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া রেলবাজার ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। আর সেই মিছিলের পরই স্কুলের গেটে পড়ল হুমকি পোস্টার। সেই পোস্টারে লেখা, 'প্রতিবাদের আর এক নাম মৃত্যু'। এদিকে এই পোস্টার পড়তেই আতঙ্কিত এলাকাবাসী। তবে তারই সঙ্গে ক্ষুব্ধ তারা। কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। যদিও এই পোস্টার পড়ার পরও বহু পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকরা জোর গলায় বলেছেন, 'প্রতিবাদ জারি থাকবেই।' (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে ঝড়, এরই মাঝে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের)
আরও পড়ুন: 'নজর ঘোরানোর চেষ্টা...', আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন রাহুল, তোপ BJP-র
আরও পড়ুন: ফের রক্তে ভিজল তিলোত্তমার মাটি, সাতসকালে আনন্দপুরে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ
গত ৯ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতলে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল এক চিকিৎসককে। সেই ঘটনায় গর্জে উঠেছে গোটা বাংলা। ১৪ তারিখের রাতে এই আবহে অনুষ্ঠিত হয়েছিল 'মেয়েদের রাত দখল' কর্মসূচি। এরপরও গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্দোলন-প্রতিবাদ। এই সব আন্দোলন প্রতিবাদ নিয়ে আবার শাসক দলের নেতাদের বিস্ফোরক সব মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সত্যি কি আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ? মুখ খুলল সিবিআই
আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী উদনয়ন গুহকে বলতে শোনা যায়, 'গ্রামের মহিলারা মদের ঠেক ভেঙে দেন, জুয়োর ঠেক ভেঙে দেওয়ার জন্য ঝাঁটা নিয়ে মিছিল করেন। কিন্তু মদের ঠেক ভাঙার জন্য বা জুয়ার ভাটি ভাঙার জন্য আমি কোনওদিন কোনও জিন্স পরা মহিলাকে দেখিনি, আমি কোনওদিনও বয়কাট চুলের মেয়েকে দেখিনি। কারণ ওটার মধ্যে ঠিক আবেগটা আসে না, ব্যাপারটা জমে না। এটা তো গ্রামের গরিব মা মেয়েদের আন্দোলন। যে আন্দোলন টিভিতে দেখায়, শহুরে মহিলারা সেই আন্দোলনেই যান। আগে ঘর সামলান। নিজের ঘর সামলান।'