1 মিনিটে পড়ুন Updated: 31 Aug 2023, 10:10 AM ISTMD Aslam Hossain
মঙ্গলবার রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই কার্যত সিনেমার দৃশ্যকে হার মানিয়েছে। অনেকেই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন। অকুতোভয় সেই অফিসারের গুলিতে ঘায়েল হয়েছিল ২ ডাকাত। তিনি যেভাবে একাই দুষ্কৃতদের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাতে মুগ্ধ রানাঘাটবাসী।
এইভাবে দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করছেন এএসআই রতন রায়। নিজস্ব ছবি
মঙ্গলবার নদিয়ার রানাঘাটে সোনার আউটলেটে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই দেখেছে শহরবাসী। দুষ্কৃতীরা গুলি ছুটতে ছুটতে এগিয়ে গেলেও তাতে বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে পালটা গুলি ছুড়তে ছুড়তে একাই দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করেছেন মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে আর কেউ ছিল না। ওই ব্যক্তির দৌলতেই ৪ ডাকাতকে ধরতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে লুট হয়ে যাওয়া গয়না। আসলে ওই ব্যক্তি হলেন রানাঘাট থানার এএসআই রতন রায়।
মঙ্গলবার রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই কার্যত সিনেমার দৃশ্যকে হার মানিয়েছে। অনেকেই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন। অকুতোভয় সেই অফিসারের গুলিতে ঘায়েল হয়েছিল ২ ডাকাত। তিনি যেভাবে একাই দুষ্কৃতদের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাতে মুগ্ধ রানাঘাটবাসী। তাঁর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। ডাকাতদের গ্রেফতার এবং সোনা উদ্ধারের পর রানাঘাটে এখন রতন বাবুকে নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সহকর্মী এবং উপর মহলের অফিসাররা তাঁর সাহসিকতার মুগ্ধ।
জানা গিয়েছে, ওই সোনার আউটলেটে ডাকাত দল হানা দেওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই রতন বাবুকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় রানাঘাট থানার পুলিশ। এরপর তিনি কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ফলে তড়িঘড়ি পোশাক পরার সময়টুকুও পাননি। তিনি জানান, মোট ৪ জন অফিসার এবং ৬ জন পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এরপর সোনার দোকান থেকে বের হতেই পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে । রতনের শরীরের ওজন প্রায় ১০০ কেজি হওয়ায় দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি দমে যাননি। পালটা গুলি চালিয়ে তিনি দুষ্কৃতীদের কিছু ধাওয়া করেন। রতন বাবুর কথায়, গুলি লাগতে পারে সেই ভয় তাঁর ছিল না। তিনি একটাই কথা ভাবছিলেন যে কোনওভাবে তাদের ধরতে হবে। এলাকার বাসিন্দারা তাদের ধরতে সাহায্য করেছে বলেই তিনি জানান।