ট্রেন চলাচল আরও দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন করতে দেশের নানা প্রান্তে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুরনো লেভেল ক্রসিং। তার পরিবর্তে তৈরি হচ্ছে লিমিটেড হাইট সাবওয়ে। এই ধরণের সাবওয়ে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক রেল শাখায়। কিন্তু বর্ষার আগমন ঘটতেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। এই সাবওয়েগুলি জলের তলায় চলে যাচ্ছে, যার ফলে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে যান চলাচল।
আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ার থেকে ৩৫ মিটার উঁচু,মোদীর উদ্বোধন করা চেনাব সেতুতে আছে কলকাতার ছোঁয়া
টানা বৃষ্টিতে বহু সাবওয়ে কার্যত জলমগ্ন। এমন পরিস্থিতিতে গাড়ি বা বাইক নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়লে দুর্ঘটনার ঝুঁকি প্রবল। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সাবওয়েতে জল থাকলেও অনেকে সেই জলে ঢুকে পড়েছেন, যা থেকে ঘটছে বিপত্তি। এই সমস্যা সামাল দিতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে রেল। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সাবওয়েগুলিতে মোতায়েন করা হবে ওয়াচম্যান। তাঁদের দায়িত্ব হবে, যখনই জলস্তর বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছবে, তখন গাড়ি চলাচল সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া।
কিন্তু শুধু একজন কর্মী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই তাঁদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পাশে থাকবে আরপিএফ। কেউ নির্দেশ অমান্য করলে রেল নিরাপত্তা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেবে। রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, যেহেতু জল জমে এই সাবওয়েগুলিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাই রেল প্রশাসন ঝুঁকি নিতে নারাজ।
এই ধরণের সমস্যা ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে হাওড়ার জিরাট-গুপ্তিপাড়া সেকশনে এবং পূর্ব রেলের কৃষ্ণনগর-লালগোলা শাখাতেও রয়েছে এমন দুটি সাবওয়ে। একাধিক সাবওয়ে পূর্ব রেলের বিভিন্ন শাখায়ও চালু হয়েছে, যেগুলির জলনিকাশি ব্যবস্থা বর্ষায় যথেষ্ট চাপে পড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে সর্বক্ষণ সতর্ক রাখা হয়েছে। বর্ষার জেরে লাইনের কোথাও জল জমছে কিনা, তা নজরদারিতে রাখার জন্য বাড়ানো হয়েছে টহল। কাজ কতটা তৎপরতার সঙ্গে হচ্ছে তা বুঝতে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মীদের জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে নজরে রাখা হবে।সিগন্যাল বিভাগ ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে একযোগে ২৪ ঘণ্টা কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে, যাতে ট্রেন চলাচলে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে। পাশাপাশি, লাইনের ধারে থাকা নিকাশি নালা ও পাইপগুলিকেও সচল ও উপযুক্ত রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।