ডুয়ার্সে জলঢাকা নদী সংলগ্ন জঙ্গলে একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বন বিভাগের কর্মীরা টহলদারি চালানোর সময় প্রাপ্তবয়স্ক ওই চিতাবাঘের দেহ জঙ্গলের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। এই ঘটনায় পাচারকারীদের জড়িত না থাকার অনুমানই করছে বন বিভাগ। প্রাথমিকভাবে হাতির হামলায় ওই চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন বনদফতরের কর্মীরা। বনবিভাগের কর্মী এবং পশুপ্রেমীদের প্রাথমিক অনুমান, চিতাবাঘটির বাচ্চা ছিল। সেই সময় আচমকা হাতির দল সামনে চলে আসায় বাচ্চার প্রাণহানির আশঙ্কা চিতাবাঘ হাতির সঙ্গে লড়াই করে। কিন্তু, এত বড় একটি প্রাণীর সঙ্গে কোনওভাবে বেড়ে ওঠা সম্ভব ছিল না চিতাবাঘের। চিতাবাঘকে হয়তো হাতি শুরে করে আছড়ে ফেলে দেওয়ার ফলে চিতাবাঘের। মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।সোমবার দুপুরে চিতাবাঘের মৃতদেহ ডুয়ার্সে নাথুয়া রেঞ্জের বনকর্মীদের নজরে আসে। ওই রেঞ্জের অন্তর্গত গোধেয়ারকুটি বিটের জঙ্গল থেকে চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বনদফতরের আধিকারিকরা মৃত চিতাবাঘের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে চিতাবাঘের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে তারা জানিয়েছেন। এর আগেও বহুবার চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ডুয়ার্সে। সম্প্রতি বেশ কয়েক মাস আগে মালবাজার চা বাগান থেকে দুটি চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল।