'ভারত সহযোগী চাই, কোনও উপদেশদাতা নয়।' নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনার আবহে ইউরোপের দেশগুলি কড়া বার্তা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ।ইতিমধ্যে নয়াদিল্লি কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে।দুই দেশের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা প্রশমিত করতে আলোচনার মাধ্যমে শান্তির বার্তা দিয়েছে ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাস্ট্র, রাশিয়ার মতো দেশগুলি।
আরও পড়ুন-এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের অবতরণের আগেই ইজরায়েল বিমানবন্দরে মিসাইল হানা! Air India কী জানাল?
এই আবহে 'আর্কটিক সার্কেল ইন্ডিয়া ফোরাম'-এ ইউরোপ থেকে ভারতের প্রত্যাশা নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী বলেন, তাদের উপদেশ দেওয়া ছেড়ে পারস্পরিকতার ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, 'যখন আমরা বিশ্বের দিকে তাকাই, আমরা সহযোগীদের খুঁজি। আমরা উপদেশদাতাদের খুঁজছি না। বিশেষ করে এমন উপদেশদাতাদের, যারা নিজের দেশে যা করে না, বাইরের দেশে তা করতে বলে। ইউরোপের একটি অংশ এখনও এই সমস্যার মধ্যে আটকে আছে। ইউরোপ এখন বাস্তবতা যাচাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে। তারা এই চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে পারবে কিনা, তা সময়ই বলবে।' জয়শংকর বলেছেন, 'আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, যদি আমাদের অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হয়, তাহলে কিছু বোঝাপড়া থাকতে হবে। কিছু সংবেদনশীলতা থাকতে হবে। স্বার্থে পারস্পরিকতা থাকতে হবে। এই উপলব্ধি থাকতে হবে যে বিশ্ব কীভাবে কাজ করে। আমার মনে হয় এই সব কাজ ইউরোপের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন স্তরে অগ্রগতির পথে। তাই কিছু এগিয়েছে, কিছু একটু কম।'
আরও পড়ুন-এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের অবতরণের আগেই ইজরায়েল বিমানবন্দরে মিসাইল হানা! Air India কী জানাল?
পহেলগাঁও-কাণ্ডের আবহে বড় দুর্ঘটনা! কাশ্মীরে গভীর খাদে সেনার গাড়ি, মৃত ৩ জওয়ান
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব এখন আরও প্রতিযোগিতামূলক ও জটিল হয়ে উঠেছে এবং এই বাস্তবতাকে বুঝে তবেই আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে।বর্তমান সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগের তুলনায় অনেক বেশি আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। অপরদিকে ইউরোপ পরিবর্তনের চাপের মুখোমুখি। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, বিশ্বের যে কোন প্রান্তে ঘটে যাওয়া বড় কোনও ঘটনা আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। ইউরোপের ওপর বহু-মেরুত্বের বাস্তবতা চেপে বসেছে, তবে তারা তা পুরোপুরি মেনে নিতে পারেনি।তিনি জানান, ভারত গত ৪০ বছর ধরে অ্যান্টার্কটিকায় সক্রিয় এবং কিছু বছর আগে একটি নির্দিষ্ট আর্কটিক নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, 'আমাদের অ্যান্টার্কটিকায় উপস্থিতি চার দশকের বেশি। আমরা আর্কটিক নীতি তৈরি করেছি এবং স্বালবার্ডে কেএসএটি-এর সঙ্গে মহাকাশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছি। বিশ্বের সবচেয়ে যুব জনসংখ্যার দেশ হিসেবে আর্কটিক অঞ্চলে যা কিছু ঘটছে, তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'