নিমতায় মৃত বৃদ্ধা শোভা মজুমদারের ময়নাতদন্ত করা হল না কেন, এই প্রশ্ন উঠতেই নড়েচড়ে বসল পুলিশ প্রশাসন। এই ঘটনায় নতুন করে খুনের মামলা শুরু করেছে নিমতা থানার পুলিশ।গত সোমবার নিমতায় বৃদ্ধার মৃত্যুর পর বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, ময়নাতদন্তই মৃত্যুর কারণ জানার একমাত্র বৈজ্ঞানিক উপায়।অথচ মৃত্যুর পর কেন বৃদ্ধার কোনও ময়নাতদন্ত করা হল না? যিনি বৃদ্ধার মৃত্যু শংসাপত্র বা ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তিনি উত্তর দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্চনা মজুমদার।অভিযোগ উঠেছে, এলাকায় তৃণমূলের লোকেরা এসে মারধর করে যাওয়ায় মারা যান শোভাদেবী।প্রশ্ন উঠছে, চিকিৎসক হয়েও বিরোধীদের হাতে আক্রান্ত এক মহিলাকে কেন ময়নাতদন্ত করালেন না অর্চনাদেবী।যদিও এই বিষয়ে অর্চনাদেবী জানিয়েছেন, শোভাদেবীর ছেলে গোপাল মজুমদার চাননি বলে ময়নাতদন্ত করা হয়নি।একইসঙ্গে চিকিৎসক তথা বিজেপি প্রার্থী জানিয়েছেন, বৃদ্ধার মাথায় ও মুখে আঘাত ছিল।অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণও হয়।সেই অনুযায়ী তিনি মৃত্যুর শংসাপত্র দেন।কিন্তু এক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠছে, ময়নাতদন্ত ছাড়া কীভাবে মৃত্যুর কারণ বলতে পারেন এক চিকিৎসক।জানা গিয়েছে, অর্চনাদেবীই বৃদ্ধার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর নিমতা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রশ্ন উঠছে, অভিযোগ দায়ের যদি করতেই হত তাহলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার আগে কেন থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হল না।আরোও একটি প্রশ্ন উঠছে। শোভাদেবী গুরুতর জখম হলেও তাঁকে কেন সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হল না।উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদারকে মারতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের কিছু লোকজন।শোভাদেবী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকেও মারধর করা হয়।গুরুতর জখম হলেও ২ মার্চ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শোভা দেবীর মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল।নেক ফিমার ভাঙা ছিল। কিডনির অসুখ ছিল।এছাড়াও ডায়বেটিক ও হাইপারটেনশনের রোগী ছিলেন তিনি।