কলকাতার বহু রাস্তা গর্ত, খানা খন্দে ভরে গিয়েছে। তাতে একাধিক রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ঠিক যেন দুর্ঘটনার ফাঁদ পাতা শহরজুড়ে। এবার সেইসব বিপজ্জনক জায়গাগুলো চিহ্নিত করে পুরসভার কাছে তালিকা পাঠক কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। মোট ৪৬৪টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে দ্রুত মেরামত না হলে বর্ষায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ শাখায় যুগ্ম কমিশনার পদ, ছাড়পত্র দিল নবান্ন, বাড়তি নজরদারির গুরুত্ব
শহরের এই বিপজ্জনক পয়েন্টগুলোর তালিকা কলকাতা পুরসভা ছাড়াও, পূর্ত দফতর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, দেরি না করে কাজ শুরু করতে হবে। এই সব জায়গায় কোথাও রাস্তা গর্তে ভরা, কোথাও গাছের ডাল পড়ে আছে সিগন্যাল আটকে, আবার কোথাও খুঁটির সঙ্গে ঝুলছে খোলা বৈদ্যুতিক তার। পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিজেরাই বিশ্লেষণ করেছে সবকিছু। ট্র্যাফিক গার্ডের অধীনে থাকা ২৫ জন অফিসার সরেজমিনে গিয়ে ছবি ও ভিডিয়ো সংগ্রহ করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। সবচেয়ে বেশি সমস্যা ধরা পড়েছে ভবানীপুর (৩৭টি স্থান), উল্টোডাঙা (৪০), হেডকোয়ার্টার (৩১) ও ডায়মন্ড হারবার (৩৪) ট্র্যাফিক গার্ড এলাকায়। সবচেয়ে খারাপ রাস্তার তালিকায় রয়েছে এজেসি বোস রোড, দরগা রোড, সিআইটি রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, ক্রিস্টোফার রোড, আর ইএম বাইপাসের রুবি থেকে কালিকাপুরের মাঝামাঝি অংশ। এইসব জায়গার রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে চলার অযোগ্য হয়ে উঠেছে। বেহালার ডিএইচ রোড, বনমালী নস্কর রোড, পাহাড়পুর রোড কিংবা বিধান সরণিতেও সমস্যা রয়েছে। তবে সেগুলোর মূল সমস্যা খোলা তার আর ঝুঁকে পড়া গাছের ডাল। একজন ডিসিপি জানিয়েছেন, বর্ষার আগে এই সব জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু দুর্ঘটনাই নয়, পুজোর সময়ে রাস্তার হাল ঠিক না থাকলে যানজট সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। স্ট্র্যান্ড রোডের উদাহরণ টেনে পুলিশ জানিয়েছে, হাওড়া ব্রিজের মুখের রাস্তাটা এতটাই খারাপ যে কোথায় ব্যারিকেড বসানো হবে তাও বুঝে ওঠা যাচ্ছে না।
একজন সিনিয়র অফিসার বলেন, ‘আমরা এখন প্রতিটি বিপজ্জনক জায়গার ছবি, ভিডিয়ো, সঙ্গে ল্যান্ডমার্ক দিয়ে রিপোর্ট পাঠাচ্ছি যাতে সংশ্লিষ্ট দফতর চটজলদি কাজ শুরু করতে পারে।’ আরও জানানো হয়েছে, যেহেতু এবছর পুজো সেপ্টেম্বরেই, তাই কাজ শুরু করতে হবে এখনই। নয়তো নাগরিক দুর্ভোগ চরমে উঠবে। যেমন, আরজি কর রোড বা বীরেন রায় রোড পশ্চিমে এমন জায়গায় পুলিশ ১৪ ঘণ্টা ডিউটি দিচ্ছে শুধু যাতে গাড়ির চাপ সামলানো যায়।