খড়দা পুরসভায় একে অপরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সরব ২ গোষ্ঠী। খড়দার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ওয়ারিশন সার্টিফিকেটের বিনিময়ে মোটা টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠী। একই সঙ্গে প্রোমোটারের থেকে ৫ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। পালটা অভিযুক্ত কাউন্সিলরের দাবি, শুধুমাত্র তাঁর ওয়ার্ড থেকে ২০ লক্ষ টাকা তোলা তুলেছে তৃণমূলের অপরগোষ্ঠী।
খড়দা পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার অভিযোগ, বাড়ি বিক্রি করার জন্য কাউন্সিলর মধুরিতা গোস্বামী মুখোপাধ্যায়ের কাছে ওয়ারিশন সার্টিফিকেট চেয়েছিলেন তিনি। বদলে কাউন্সিলর তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। একটি টেলিফোনিক কথোপকথন প্রকাশ্যে এনেছেন ওই ব্যক্তি। যাতে তিনি দাবি করেছেন, কাউন্সিলর তাঁর কাছে ৩টি চেকে টাকা দাবি করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মধুরিতা দেবী বলেন, আমি ওয়ারিশন সার্টিফিকেটের জন্য কোনও টাকা নিইনি। তবে স্থানীয় এক প্রোমোটারের কাছ থেকে এলাকার উন্নয়নের জন্য ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলাম। যদিও প্রোমোটারের দাবি, তাঁর কাছ থেকে মোট ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কাউন্সিলর। মধুরিতাদেবী আরও বলেন, আমার ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের অন্য নেতারা ২০ লক্ষ টাকা তুলেছে। সেই টাকার কানাকড়িও আমি পাইনি। তাই আমি আমার মতো করে টাকার ব্যবস্থা করেছি। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে তোলাবাজির বিরোধিতা করেছিলাম বলে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
খড়দার পুরপ্রধান নীলু সরকার বলেন, এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। কেউ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য টাকা নেবে কেন? গোটা ঘটনার তদন্ত হবে।