GARIMA SINGH : বাস্তুশাস্ত্রের কিছু বিষয় মনে রেখে, আমরা আমাদের জীবনকে একটু সহজ করে তুলতে পারি। এর মধ্যে এমন অনেক বিষয় আছে, যা অনুসরণ করে আপনি সহজেই সুখ ও সমৃদ্ধি পেতে পারেন। বাস্তুশাস্ত্র কেবল ঘর সাজানোর পদ্ধতিই বলে না, বরং খাবার খাওয়ার পদ্ধতিতেও অনেক গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে বলে জানায়। তাই আজ জানা যাক, যে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কোন কোন স্থানে বসে খাবার খেলে আমাদের জীবনে দারিদ্র্য আসতে পারে। তাহলে আসুন জেনে নিই কোন ৫টি স্থানে ভুল করেও খাওয়া উচিত নয়...
১. দরজার কাছে খাবেন না বাস্তুশাস্ত্রে স্পষ্টভাবে লেখা আছে যে দরজার কাছে বা দরজার ফ্রেমে খাবার খাওয়া সবচেয়ে অশুভ। যদি আপনি জেনেশুনে বা অজান্তে এটি করে থাকেন, তাহলে এখনই সতর্ক থাকা দরকার। এই স্থানে খাবার খেলে ঘরে সহজেই নেতিবাচক শক্তি আসে। বলা হয় যে এই স্থানে ঈশ্বর বাস করেন। এটি করলে আপনি দেবী লক্ষ্মীর অপমান করেন। এমন পরিস্থিতিতে অর্থের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২. উপাসনালয়ের কাছে খাবেন না যদি আপনি উপাসনালয়ের কাছে বসে খাওয়া খাওয়া ভালো মনে করেন, তাহলে আপনি খুবই ভুল করছেন। এটি করা অশুভ বলে বিবেচিত হয়। উপাসনালয়ের কাছে বসে খাওয়া করলে আপনি দেব-দেবীদের অপমান করছেন। যদি আপনি এটি করেন, তাহলে তা এড়িয়ে চলুন। এটি করলে ঘরের শান্তি ও সুখ বিঘ্নিত হয়। একই সাথে সুখ-সমৃদ্ধিও সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
৩. বিছানায় কখনও খাবেন না যদি আপনি বিছানায় বসে আরামে খাওয়া করেন, তাহলে অবিলম্বে এটি করা বন্ধ করুন। এর ফলে আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। এছাড়াও, আর্থিক অবস্থাও অস্থির হতে পারে। এটি করলে অর্থের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও, আপনি মানসিক চাপে থাকবেন।
৪. নোংরা জায়গায় খাবেন না। সর্বদা খাবারের জন্য একটি পরিষ্কার জায়গা খুঁজে বের করুন। যদি আপনি নোংরা জায়গায় বসে খাও, তাহলে আপনার চারপাশে নেতিবাচক শক্তি থাকবে। এছাড়াও, আর্থিক অবস্থাও খারাপ হতে পারে। এখন থেকে, শুধুমাত্র পরিষ্কার জায়গায় বসে দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার খান।
৫. গ্যাসের চুলার কাছে খাবেন না। অনেক সময় মানুষ তাড়াহুড়ো করে, জেনেশুনে বা অজান্তে গ্যাসের চুলার কাছে খেতে শুরু করে। তাড়াহুড়ো করেও এটি করা এড়িয়ে চলুন। যদি আপনি এমন জায়গায় বসে খাচ্ছেন, তাহলে এটি ঘরের শান্তি নষ্ট করে।
( বি.দ্র- আমরা দাবি করি না যে এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্য সম্পূর্ণ সত্য এবং নির্ভুল। বিস্তারিত এবং আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।)