ইংল্যান্ড সফরের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ভারতীয় দলই পুরো কন্ট্রোলে ছিল। তবে দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডও কিছুটা খেলায় ফিরেছে। ভারত ৩৫৯/৩ থেকে শুরু করে ৪৭১ রানে অলআউট হয়ে গেছে। বেন স্টোকস এবং ডোশ টং চারটি করে উইকেট নেন। টিম ইন্ডিয়া যেভাবে এগোচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল ৫০০ রানের গণ্ডি পেরতে খুব বেশি অসুবিধা হবে না টিম ইন্ডিয়ার। কিন্তু ৪৩০/৩ থেকে ৪৭১ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত, ফলে বড় রান করলেও মানসিক দিক থেকে ৫০০র বেশি স্কোর করার যে আত্মবিশ্বাস, তা পায়নি শুভমন গিল ব্রিগেড।
বল হাতে শুরুটা ভালো করেছিল ভারত, জসপ্রীত বুমরাহ প্রথম ওভারে গিয়েই জ্যাক ক্রলিকে আউট করে আসেন। এরপর বেন ডাকেটের পরপর ক্যাচ মিস না হলেও তাঁর হাফ সেঞ্চুরি হত না। বুমরাহ ৬২ রানে ফেরান ডাকেটকে, বোল্ড আউট করে। এরপর টেস্টে দশমবারের জন্য জো রুটকেও আউট করেন ভারতের বুমরাহই। কিন্তু এই অতিরিক্ত জসপ্রীত নির্ভরতাই টিম ইন্ডিয়ার জন্য কাল হতে পারে তৃতীয় দিনে। এখনও পর্যন্ত বুমরাহ ১৩ ওভার করেছেন, তৃতীয় দিনে শুরুতেও তিনিই ৩-৪ ওভার বোলিং করবেন আশা করাই যায়। কিন্তু বাকি বোলাররা যদি একদম সাপোর্ট দিতে না পারে তাহলে যে টিম ইন্ডিয়ার কপালে শনি রয়েছে, সেকথা বলাই বাহুল্য। কারণ বুমরাহ কিন্তু গোটা সিরিজের পাঁচ ম্যাচে খেলবেন না।
দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় দলের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘হেডিংলের উইকেট যে এত শুকনো হবে সেটা কেউ আশা করেনি। ভারতের ৬০০ রান করা উচিত ছিল। ভারতকে এই ম্যাচটা জিততেই হবে, কারণ এমন সুযোগ পরে সিরিজের আর কোনও মাঠে পাবে কিনা কেউ বলতে পারে না ’।
ভারতীয় বোলারদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গম্ভীরের একটি সিদ্ধান্ত মনে ধরেনি মহারাজের তিনি বলছেন, ‘কুলদীপকে হয়ত পরবর্তী সময় খেলানো হবে, এটা দীর্ঘ সিরিজ। তবে আমি আর্শদীপকে খেলাতাম। কারণ ও বাঁহাতি পেসার হওয়ায় একটা আলাদা অ্যাঙ্গেল থেকে বোলিং করতে পারত, কিন্তু ঠিক আছে। যারা আছে তাঁরাও ভালো ’। মহাজার কেন প্রসিধ কৃষ্ণার থেকে আর্শদীপকে খেলানোর বেশি পক্ষপাতি ছিলেন তার প্রমাণ মিলেছে দ্বিতীয় দিনেই। ১০ ওভার বোলিং করে প্রসিধ দিয়েছেন ৫৬ রান, পাননি একটি উইকেটও।