লিডস টেস্টে দ্বিতীয় দিনের খেলার সময়ই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সামান্য সুবিধা পেয়ে গেল ইংল্যান্ড দল। নাহলে দ্বিতীয় দিনে ৩ উইকেটের পরিবর্তে ভারতীয় দল আরও ২-১টি উইকেট বেশি তুলে ফেলতে পারত। ভারতীয় দল অলআউট হওয়ার পর আকাশ তখন মেঘলা, ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার বেন ডাকেট এবং জ্যাক ক্রলি তৈরি ছিলেন মাঠে নামার জন্য। কিন্তু সেই সময় হঠাৎই আম্পায়াররা গ্রাউন্ডস্টাফদের ডেকে কভার দিতে বললেন পিচ। তারপরই দুই ওপেনার ফিরে গেলেন সাজঘরে। বৃষ্টি তখনও তেমন শুরু না হলেও আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তই লাইফলাইন পেয়ে যায় ইংল্যান্ড।
আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তের পর ঋষভ পন্ত হাত নেড়ে জিজ্ঞাসা করেন কেন খেলা শুরু করা হল না? মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরাহরাও বিরক্তি দেখান আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে। টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা যে এই সিদ্ধান্তে একদমই সন্তুষ্ট ছিলেন না, তা বোঝা যায় তাঁদের হাবেভাবে। বুমরাহ, সিরাজ, কৃষ্ণা এবং পন্ত বাধ্য হয়েই এরপর মাঠ ছাড়েন। যদিও ভারতীয় ক্রিকেটারদের অধিকাংশই সিঁড়িতে দাঁড়িয়েছিল, কারণ তাঁরা মনে করছিলেন খেলা শুরু হবে।
কভার দেওয়ার পর একটু বৃষ্টি হতে না হতেই, ১০ মিনিটের মধ্যে তা থেমে যায়, যা বিরক্তি আরও বাড়ায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের। কারণ মেঘলা আবহাওয়ায় ইংল্যান্ডে পেসাররা সুবিধা পেয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সিরাজ, বুমরাহদের কাছে বল সুইং করানোর অস্ত্র ছিল সেই সময়। ইংল্যান্ডের বোলাররাও এমন মেঘলা পরিবেশই কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় দিনে ভারতের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল। ভারত তাঁদের শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ২৪ রানে, সেই সময় স্টোকস এবং টস দুইদিকেই বল সুইং করাচ্ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দল দ্বিতীয় দিনে বোলিং করতে এসে ইংল্যান্ডের তিন উইকেট তোলে ২০৯ রানের মধ্যে। তৃতীয় দিনের ফার্স্ট সেশনটা তাঁদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ জসপ্রীত বুমরাহ ছাড়া এই টেস্টে এখনও পর্যন্ত কোনও ভারতীয় বোলারই উইকেটের দেখা পাননি। এর মধ্যে শার্দুল ঠাকুর এবং প্রসিধ কৃষ্ণা তো একেবারে মধ্যমানের বোলিং করছেন। ১৩ ওভার বোলিং করে বুমরাহই তিনবার ধাক্কা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের।