আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট পন্ত! কেন টিম ইন্ডিয়াকে মাঠ ছাড়তে বলা হয়েছিল?

জসপ্রীত বুমরাহ ঠিক তখনই তার বোলিং মার্কে পৌঁছাতে যাচ্ছিলেন, যখন আম্পায়ার পল রেইফেল ও ক্রিস গ্যাফানি তাকে থামতে বলেন এবং মাঠকর্মীদের কভার আনতে নির্দেশ দেন। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি, যারা প্রায় মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন, দ্রুত দৌড়ে প্যাভিলিয়নের দিকে ফিরে যান।বৃষ্টি খুব একটা ভারী ছিল না, কিন্তু আম্পায়ারদের মতে, তা যথেষ্ট ছিল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শুরুর বিলম্ব ঘটাতে। যা ছিল অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির প্রথম টেস্ট।বুমরাহ তখনই তার ক্যাপ পরে নেন, আর মহম্মদ সিরাজ মুখে বিস্ময়ের ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঋষভ পন্ত হাতের গ্লাভস খুলে আম্পায়ারদের কাছে জানতে চান, কেন তাদের মাঠ ছাড়তে বলা হচ্ছে। এই ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেটাররা স্পষ্টতই খুশি ছিলেন না এবং মাঠ ছাড়তে অত্যন্ত অনিচ্ছুক ছিলেন।বুমরাহ, সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ও পন্ত ছিলেন শেষ দলের মধ্যে যারা ধীর গতিতে মাঠ ত্যাগ করেন। বেশিরভাগ ভারতীয় খেলোয়াড় সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আশায় ছিলেন খেলা তাড়াতাড়ি শুরু হবে। কিন্তু কভার আনার সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টি সামান্য বেড়ে যায় এবং কভার দিয়ে বোলারের রান-আপ এলাকাও ঢেকে ফেলা হয়। ১০ মিনিট পরই বৃষ্টি প্রায় থেমে যায়, যা ভারতীয়দের হতাশা আরও বাড়িয়ে তোলে।ভারতের হতাশা স্বাভাবিক। তারা খুব ভালো করেই জানে, বুমরাহ, সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা মেঘলা আবহাওয়ায় কী করতে সক্ষম। এমনকি ইংল্যান্ডের বোলাররাও দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টা পার হওয়ার পর আবহাওয়া বদলাতেই উইকেট নিতে শুরু করে। ভারত তখন শেষ ছয়টি উইকেট মাত্র ২৪ রানে হারায়, যখন জোশ টাঙ্গ ও বেন স্টোকস বল সুইং করাতে থাকেন।তবে তার আগে, ভারত প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রানের শক্ত ভিত গড়ে তোলে, যখন বেন স্টোকস টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান। ভারত সহজেই ৫০০ রানের বেশি সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল প্রথম দিনে, কিন্তু শনিবার লাঞ্চের আগে ও পরে ধস নামে। মাত্র ১২ ওভারে শেষ ৭টি উইকেট ৪১ রানে হারায় ভারত, যদিও পন্ত ঝড়ো ১৩৪ রান করেন।স্টোকস ২০ ওভারে ৬৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেন, আর পেসার জোশ টাঙ্গ ৮৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে দেন। নবযুগে প্রবেশ করা ভারতীয় দল—যেখানে ছিলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। তাদের ছাড়াই শুভ সূচনা করে গিলের টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়ক শুভমন গিল (১৪৭), সহ-অধিনায়ক (১৩৪) ও ওপেনার যশস্বী জসওয়াল (১০১), এই তিনজনই শতরান করেন।