কদিন আগেই কলকাতা বিমানবন্দরের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ভিডিয়োবার্তায় বলতে শোনা যায়, ‘শেষ ছটা বছর ধরে কলকাতা বিমানবন্দরে আমি আমার সন্তানের জন্য স্ট্রলার পাই না।’ কদিন আগেই স্পাইনে সার্জারি হয়েছে অভিনেত্রীর। ফলত খুব ভারী কিছু তুলতে বারণ। ফলে মেয়েকে কোলে নিতেও পারেন না। কণীনিকা আরও স্পষ্ট করেন, যাতে সব মায়েরাই এই নিয়ে গলা তোলে, যাতে করে পরবর্তীতে অন্তত কোনো মা-কে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে ন হয়। সমবেতভাবে গলা তুললে যাতে, টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।
কিন্তু দেখা গেল, সেখানে কিছু সেই ভিডিয়োর কমেন্ট বক্সে মানুষ পালটা কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন, কেন তাঁর ৬ বছরের মেয়ে হাঁটতে পারে না? ‘এত বড়, তাও কেন লাগবে স্ট্রলার’, প্রশ্ন তোলেন একাধিক।
এবার সেই ট্রোলারদের মুখ বন্ধ করলেন কণীনিকা। তাঁকে বেশ স্পষ্ট করেই বলতে শোনা গেল, ‘আমার মেয়ের ৬ বছর বয়স হোক, বা ১০ বছর। আমরা যদি ওকে ক্যারি করতে ন পারি, আমাদের স্ট্রলার লাগবে। আর আমার বাচ্চার একটা বেসিক ডিসিপ্লিন আছে, সে সাড়ে ৯টার মধ্যে ঘুমিয়ে যায়। কারণ সে সকালে ঘুম থেকে ওঠে। আমার মেয়ে রাত জাগা পাখি নয়। তাই আমি তাকে রাত জাগিয়ে রাখতে পারব না।’
‘মাঝ রাতে বা সকাল ৩টে, ৪টে বা ৫টার সময়, যখন ফ্লাইট ল্যান্ড করবে, তাকে ডেকে তুললে সে ঘুম থেকে উঠবে না। সেক্ষেত্রে আমাদেরকেই সলিউশন বের করতে হবে। যদি আপনারা স্ট্রলার দিতে না পারেন, যেমন আমাকে মেইল করেছেন, স্ট্রলার দিলে নাকি আপনাদের ফাইন হয়ে যাবে, তাহলে অন্য ব্যবস্থা নিন। যাতে বিমান থেকে নামার পর মায়ের হয় হুইলচেয়ার পায়, নয় কিছু স্ট্রলার নিজেরা কিনে রাখলেন।’
এয়ারপোর্টে পরিষেবা না পেয়ে, যে অভিযোগ করার ভিডিয়োটি বানিয়েছিলেন কণীনিকা, সেখানে তাঁকে কিছু মানুষ আবার কটাক্ষ করে লেখেন যে, তিনি নাকি পাবলিসিটির জন্য এমন করছেন। তার জবাব দিয়ে অভিনেত্রী বললেন, ‘আমার আর আলাদা করে খ্যাতি পাওয়ার দরকার নেই বিশ্বাস করুন। আমার তো রিল বানাতেও বিরক্ত লাগে। সেটাও করতে হয় বলে কিছু কিছু করি। এসব করে আমার খ্যাতি পেতে হয় না।’