'সোনাগাছির যৌনকর্মীদেরও কিছু নীতি নৈতিকতা আছে, কলকাতা পুলিশের সেটাও নেই'

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন কর্মসূচিকে পদে পদে বাধা পেয়ে কলকাতা পুলিশকে সোনাগাছির যৌনকর্মীদের সঙ্গে তুলনা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোশ্যাল মিডিয়ায় শনিবার সুকান্তবাবুর একটি মন্তব্য প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে সুকান্তবাবুকে পুলিশকে উদ্দেশ করে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আপনারা আইনটাকে না সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কারে পরিণত করে দিয়েছেন।’ তৃণমূলের দাবি, এই মন্তব্যের মাধ্যমে রাজ্যের মা - বোনেদের অপমান করেছেন সুকান্ত, তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। যদিও তৃণমূলের এই পোস্টকে আসলে অনুব্রতর মন্তব্যকে আড়াল করার চেষ্টা বলে পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।তৃণমূলের পোস্ট করা ভিডিয়োয় সুকান্তবাবুকে একটিই লাইন বলতে শোনা যাচ্ছে। সেখানে তিনি বলছেন, ‘আপনারা আইনটাকে না সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কারে পরিণত করে দিয়েছেন।’ এই ভিডিয়ো পোস্ট করে তৃণমূলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, ‘বিজেপি দেশের রাজনৈতিক আবহে আবর্জনা ছড়াচ্ছে। তাদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাংলার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে যৌনকর্মীর সঙ্গে তুলনা করছেন। এবার এই আবর্জনার উৎস একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কোনও আতিপাতি কেউ নয়, কোনও অজানা আইডি থেকে আসা মন্তব্যও নয়. একজন বর্তমান সাংসদ এই মন্তব্য করেছেন যিনি কি না সংবিধানের নামে শপথ নিয়েছেন। এটাই তাদের পরিচয়। তাদের সমস্ত স্লোগানের প্রচ্ছন্নে এক কদর্য, হিংসাত্মক মানসিকতা কাজ করে যে মানসিকতা মহিলাদের নির্যাতন ও অবমাননার বস্তু বলে মনে করে।’তৃণমূলের পোস্টের জবাবে সুকান্তবাবু বলেন, ‘রেড লাইট এরিয়ার মহিলাদেরও নীতি থাকে, সম্মান থাকে, কলকাতা পুলিশের নেই। আমি কলকাতা পুলিশকে বলেছি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা অনুব্রত মণ্ডলের পুলিশের স্ত্রী ও মাকে গালি দেওয়াকে ঢাকার চেষ্টা করছে। এভাবে ঢাকতে পারবে না। আমি আবার বলছি। যারা দেহব্যবসা করে তাদেরও একটা নীতি থাকে, কলকাতা পুলিশ সেই নীতি মানছে না।’