নদীর নামে নাম। দার্জিলিংয়ের শ্রীখোলা। এই প্রচন্ড গরম থেকে দিন কয়েকের শান্তির জন্য ঘুরে আসতেই পারেন শ্রীখোলা। কেউ যেন তুলি দিয়ে এঁকেছে নদী, পাহাড়, সবুজ বনানী। মন একেবারে ভরে যাবে। কীভাবে যাবেন শ্রীখোলা?
এনজেপি, দার্জিলিং মোড়, কিংবা বাগডোগরা থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে পারেন শ্রীখোলা। গাড়ি ভাড়া করে গেলে সরাসরি চলে যেতে পারেন আপনার ভালোবাসার গ্রামে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি শ্রীখোলা গাড়ি যেতে না চাইলে মানেভঞ্জনে নেমে গিয়ে সেখান থেকে অন্য গাড়িতে ধোত্রে, রিম্বিক হয়ে যেতে পারেন শ্রীখোলা। মানেভঞ্জন থেকে শ্রীখোলা আরও প্রায় ৫০ কিমি ভেতরে। দার্জিলিং থেকে মানেভঞ্জন আসতে গেলেই প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যাবে। এরপর শ্রীখোলা পৌঁছতে আরও প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
আসার পথে রাস্তার দুধারের দৃশ্য দেখে পথের ক্লান্তি ভুলে যাবেন অনেকটাই। দীর্ঘ জার্নি করে এসে যখন শ্রীখোলাতে পৌঁছবেন, দেখবেন মন একেবারে জুড়িয়ে যাবে।নদীর ধারে একবার বসতে পারেন। পাথরে ধাক্কা খাচ্ছে পাহাড়ি নদীর জল। পাড়ার পুকুরের শান্ত জলে যাদের মাছ ধরার শখ আছে, তাঁরা একবার পরখ করে দেখতে পারেন শ্রীখোলাতেও। একটু ধৈর্য্য ধরে বসুন নদীর ধারে, দেখবেন জীবনের হারিয়ে যাওয়া ভালোলাগার মুহূর্তগুলি কেমন মনে পড়ে যাবে আরও একবার।