আবার মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটল বাংলায়। আজ, বৃহস্পতিবার সাতসকালে মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনা ঘটে মালদায়। জাতীয় সড়কের উপর টোটোকে পিষে দিল বেপরোয়া একটি ট্রাক। আর তার জেরে একসঙ্গে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। এই ঘটনা নিয়ে এখন ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ ঘটনাস্থলেই একসঙ্গে প্রাণ হারালেন তিনজন যাত্রী। তবে এই পথ দুর্ঘটনা কেমন করে ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে মালদার গাজোলের পদ্মপুকুর এলাকায়। লক্ষ্মীবারে এমন পথ দুর্ঘটনায় তিনজন যাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আজ সকালে গাজোলের ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল একটি টোটো। তখনই পদ্মপুকুর এলাকায় একটি লরি তীব্র গতিতে এসে টোটোকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। ওই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল বলেই প্রবল জোরে ধাক্কা দেয়। আর তার জেরেই দুমড়ে মুচড়ে পাকিয়ে যায় টোটোটি। তখনই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তিন জনের। ঘাতক লরিটিকে ধাক্কা মেরে পালিয়েও যায়। এখনও ওই লরিকে শনাক্ত করা যায়নি। এই পথ দুর্ঘটনার খবর পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে। ঘটনাস্থলে তখন ছুটে আসে গাজোল থানার পুলিশ। যত বেলা গড়াতে শুরু করেছে তত ভিড় বাড়তে থাকে দুর্ঘটনার রাস্তায়।
আরও পড়ুন: আরজি কর হাসপাতালে তিন ঘণ্টা পড়ে রইল রোগী, অভিযোগ জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের বিরুদ্ধে
স্থানীয় বাসিন্দারা এই পথ দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে তাঁদের অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। তখন তড়িঘড়ি স্থানান্তরিত করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই খবর পেয়ে ছুটে আসে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যাত্রীরা হলেন মাছ ব্যবসায়ী নিজামুদ্দিন শেখ (৫৫)। তাঁর বাড়ি খলম্বা এলাকায়। ললিত ভুঁইমালি (৬০)। তাঁর বাড়ি কাজিপাড়া এলাকায়। আর মৃত্যু হয়েছে টোটো চালক আলতাফ হোসেনের (৪২)। বাড়ি তাঁর দেওতলা এলাকায়। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সামসুদ্দিন শেখ (৬০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি একজন স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী। বাড়ি পদ্মপুকুর এলাকায়।
অন্যদিকে, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পৌরসভার অন্তর্গত তিন নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবদুল লতিবের মৃত্যু হয় বুধবার রাতে। গড়বেতা থানার অন্তর্গত বনকাটি এলাকায় মোটরবাইকে করে চন্দ্রকোনার রামজীবনপুরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তখন চন্দ্রকোনা–গড়বেতা রাজ্য সড়কের বনকাটি এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে মৃত্যু হয় তাঁর। রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন রামজীবনপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কল্যাণ তেওয়ারি–সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা।