শহরে প্রতিদিনই কোনও না কোনও নতুন নির্মাণ হচ্ছে। চলছে নির্মাণ সংষ্কারের কাজও। টন টন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এই নির্মাণ বর্জ্য যাকে চলতি ভাষায় রাবিশ বলা হয়, তা কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ে নির্মাণ সংস্থার। এ বার সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এল কলকাতা পুরসভা। ফোন করলেই নির্মাণ বর্জ্য নিয়ে যাবে পুরসভা। এর জন্য পুরসভাকে চার্জ দিতে হবে নির্মাণ সংস্থাকে।
এখানেই শেষ নয়, যেমন পচনশীল বর্জ্য ও প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। তেমনি নির্মাণ বর্জ্যকেও পুনর্ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজারহাটের পাথরঘাটায় একটি প্ল্যান্টের উদ্বোধন করা হবে। সেই প্ল্যান্টে নির্মাণ বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে। একটি বেসরকারি সংস্থা এই প্ল্যান্টটি নির্মাণ করেছে। প্ল্যান্টটি নির্মাণের জন্য সরকার ৫ একর জমি দিয়েছে। সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন নির্মাণ বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্যে করে তোলা হবে।
(পড়তে পারেন। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিকর বকেয়া কলকাতা পুরসভায়, কোন পথে আদায় করা হবে?)
কী ভাবে কাজ করবে এই প্ল্যান্ট?
অত্যাধুনিক মেশিনের মাধ্যমে ইট-সিমেন্ট থেকে লোহা ও অন্যান্য ধাতব সামগ্রীকে আলাদা করে ফেলা হবে। এর মধ্যে একটা অংশ লোহার রড বা অন্য ধাতব সামগ্রী তৈরিতে কাজে লাগানো হবে। বাকি ইট-সিমেন্টকে গুঁড়িয়ে ফেলা হবে। সেই গুঁড়ো রাস্তা কিংবা অন্য কোন নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হবে। তৈরি করা হবে ‘পেভার ব্লক’-ও তৈরি করা হবে।
পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শহরে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে ৮০০ মেট্রিক রাবিশ। এত দিন পর্যন্ত এই রাবিশ জলাজমি ভরাট ও নীচু জমি উঁচু করার কাজে ব্যবহার করা হতো। এবার সেই বর্জ্যকে নির্মাণের কাজে পুনর্ব্যবহার করা হবে। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এ জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হচ্ছে। সেখানে ফোন করে জানালে পুরসভার গাড়ি পৌঁছে যাবে বর্জ্য সংগ্রহ করতে। তার জন্য দিতে হবে চার্জ।