হাওড়ার জগাছায় রেলকর্মী সুরেশ সাউয়ের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মৃতের স্ত্রী। ধৃত রাজেশ্বরী সাউ জানিয়েছেন, নিজের ১১ বছরের মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে চেয়েছিলেন বাবা সুরেশ সাউ। মেয়ের সম্মান রক্ষা করতেই স্বামীকে খুন করেছেন তিনি।
সুরেশ সাউ খুনে সম্পর্কের একাধিক জটিলতার তথ্য উঠে আসছে। অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা রাজেশ্বরীর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ছিলেন সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডের কর্মী সুরেশ সাউ। দম্পতির ১১ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। রাজেশ্বরীর দাবি, নিজের মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন সুরেশ। সুরেশকে বাধা দেন রাজেশ্বরী। এর জেরে দম্পতির মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছয়। মেয়ের সম্মান বাঁচাতে তাঁকে নিয়ে বিশাখাপত্তনমে বাপের বাড়িতে চলে যান।
তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, সুরেশ সাউ কার্যত ব্যভিচারীর মতো জীবনযাপন করতেন। তাঁর একাধিক যৌনসঙ্গী ছিল। এমনকী তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের জেকে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন তাঁর শ্যালিকার মেয়েও।
স্ত্রীর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীকে কোপাল প্রথম পক্ষ, গণপিটুনিতে হাসপাতালে গেল নিজেও
সুরেশ সাউ হত্যায় তাঁর স্ত্রী রাজেশ্বরী, শ্যালিকার ছেলে শেখর ও গ্যারেজ মালিক মিঠুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মিঠুনের গ্যারাজেই সুরেশের একটি দূরপাল্লার বাস থাকে। সুরেশের আচরণে অতিষ্ঠ রাজেশ্বরী মিঠুনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান। সুরেশের বাসটি দখল করার পরিকল্পনা করতে থাকে মিঠুন। মিঠুন ও রাজেশ্বরী মিলে তাই সুরেশকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। ওদিকে বোনের পরিণতির প্রতিশোধ নিতে তাদের পরিকল্পনায় যোগ দেয় শেখর।
এই ঘটনায় ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কোথায় কী ভাবে সুরেশকে খুন করা হল। কী ভাবে দেহ ফেলা হল ডোমজুড়ে। কাটা মুন্ডুই বা কী করে পৌঁছল সলপে। জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।