দু'মাস ধরে সমুদ্রে মৎস্য শিকার নিষিদ্ধ ছিল। গত ১৪ জুন গভীর রাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরেই সমুদ্রে রওনা দিয়েছে মৎস্যজীবীদের কয়েক হাজার ট্রলার। অবশেষে মৎস্যজীবীরা আবার সমুদ্রে পাড়ি দিতেই জালে উঠে আসল প্রচুর পরিমাণে রূপোলি শস্য ইলিশ। কাকদ্বীপের পর এবার প্রচুর পরিমাণে ইলিশ নিয়ে ফিরলেন দিঘার মৎস্যজীবীরা। দিঘা থেকে সমুদ্রে রওনা দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু ট্রলার। আজ বুধবার সকালে দিঘা মোহনায় ইলিশ ভর্তি ট্রলার নিয়ে ফিরে আসেন মৎস্যজীবীরা। আর সেখানে মরশুমের শুরুতেই উঠেছে ১৫ টন ইলিশ। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল ভারতীয়কে, পরে ভুল বুঝে ব্যক্তিকে দেশে ফেরাল BSF)
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরার মরশুম শুরু, নিষেধাজ্ঞা উঠতেই সমুদ্রে রওনা দিতে প্রস্তুত মৎস্যজীবীরা
৫০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের এই ইলিশগুলি পৌঁছেছে দিঘার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। সেখানে দাম উঠেছে প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এমন সাফল্যে দিঘার মৎস্যজীবীদের মুখে চওড়া হাসি, চোখে আশার ঝলক। বাজারে খবর ছড়াতেই ভিড় জমেছে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষের। আর ভোজন রসিক বাঙালির কাছে বর্ষার শুরুতেই পাতে ইলিশ মানেই অনন্য আনন্দ।স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলছেন, এভাবে মরশুম শুরু হওয়া মানে এবার ভালোই ইলিশ মিলবে। পরিবেশ-পরিস্থিতি একেবারে অনুকূলে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই কয়েকমাস জুড়ে যদি এই ধারায় মাছ ওঠে তাহলে রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে। (আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে কি ফের আদালতে রাজ্য? মামলা নিয়ে সামনে এল বড় দাবি)
আরও পড়ুন: BSF-এর জালে ২ হিন্দু সহ ৫ বাংলাদেশি, অনুপ্রবেশকারীদের ফেরানো হল নিজেদের দেশে
উল্লেখ্য, এর আগের দিন কাকদ্বীপে ধরা পড়েছে ৫০ টন ইলিশ। প্রায় ২৫-৩০টি ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে এই বিপুল পরিমাণ মাছ তুলে এনেছে। সেখানে প্রতিটি মাছের ওজন গড়ে ৫০০ থেকে ৯০০ গ্রাম। কাকদ্বীপের প্রায় ৩ হাজার ট্রলার এবার একে একে সমুদ্রে নামছে। মৎস্যজীবীদের মতে, এই মরশুমের শুরুতেই এত মাছ মানেই এবার রোজগার বাড়বে ।
মৎস্যজীবীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, সমুদ্রে এখনও বহু ট্রলার রয়েছে। সেসব ট্রলারেও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। তারা মাছ ধরে উপকূলে ফিরলে এক সপ্তাহেই ২৫০ টন বা তার বেশি পরিমাণ ইলিশ মিলবে। ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ইলিশ বাজারে আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবার ইলিশের দাম কমার আশা করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মাছ ধরার পরিবেশ রয়েছে। এবছর প্রথম দিন থেকেই ইলিশ মাছ উঠছে জালে।