
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
দীর্ঘ দু'মাস অপেক্ষার পরে অবশেষে সমুদ্রযাত্রার ছাড়পত্র পেলেন মৎস্যজীবীরা। মাছের প্রজননকালীন সময়ের কারণে প্রায় দু'মাস পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় সরকারের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ায় এবার আবার সমুদ্রে মাছ ধরার অনুমতি মিলেছে। শনিবার রাত থেকেই ইলিশ ধরার লক্ষ্যে হাজার হাজার ট্রলার রওনা দেবে গভীর সমুদ্রের দিকে।
আরও পড়ুন: মাছ ধরা নিষেধ, ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না মৎস্যজীবীরা, চালুর দাবি
মাছের প্রজননের কারণে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আজ সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। তাই মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে পারে জমাতে এখন মৎস্যজীবীদের মধ্যে ব্যস্ততা তুঙ্গে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, গোসাবা-সহ সবক’টি উপকূল বন্দর চত্বরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ট্রলার মেরামত, জাল তৈরি, বরফ, খাবার ও জ্বালানি মজুতের কাজ। ট্রলারে তুলেও রাখা হচ্ছে জরুরি সরঞ্জাম, লাইফ জ্যাকেট, লগবুক, জিপিএস ও বিপদ সংকেত যন্ত্র। মৎস্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, সমুদ্রে নামার আগে প্রতিটি ট্রলারকে নির্ধারিত নিয়ম মেনে উপযুক্ত প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। মাছ ধরার জালের ফাঁসের মাপ হতে হবে অন্তত ৯০ মিলিমিটার রাখতে হবে। এছাড়াও, ২৩ সেন্টিমিটারের চেয়ে ছোট ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
জেলা মৎস্য দফতর জানিয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় ৮,৫০০টি ট্রলার নিবন্ধিত রয়েছে। প্রতিটি ট্রলারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা সমুদ্রে অবস্থানকালে ভারতীয় নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখেন।
সহ-মৎস্য আধিকারিক (সামুদ্রিক) সুরজিৎ কুমার বাগ জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীদের সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই তাঁরা এবার গভীর সমুদ্রে যাচ্ছেন। গত বছর মাছের পরিমাণ কম থাকায় লোকসান হয়েছিল, কিন্তু এ বছর পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেই তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ইসরোর নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে মৎস্যজীবীরা এবার সমুদ্রে মাছের অবস্থান নির্ধারণ ও বিপদের সময় সংকেত আরও সহজে পাঠাতে পারবেন। ফলে ইলিশ ধরার অভিযান আরও সুরক্ষিত ও সফল হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports