উত্তরাখণ্ডে এক প্রবাসী বাঙালি পরিবারকে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। পরিবারের দাবি, শুধুমাত্র বাঙালি পরিচয় আর বাংলায় কথা বলাটাই তাঁদের ‘অপরাধ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই কারণেই প্রতিবেশীর সঙ্গে সামান্য বিবাদকে কেন্দ্র করে তাঁদের উপর নেমে আসে পুলিশের অমানবিক অত্যাচার। ঘটনায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী কিরণ সিংহরায় এবং তাঁর স্ত্রী-কন্যা। নৃশংস মারধরের জেরে বর্তমানে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন তাঁর অষ্টাদশী কন্যা। তিনি ডাক্তারি পড়ুয়া। ঘটনাকে ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন: মজুরি চাইতেই অমানবিক শাস্তি, মুম্বইয়ে কান কেটে দেওয়া হল বাংলার শ্রমিকের
কিরণবাবুর অভিযোগ, গত ১৩ অগস্ট দেরাদুনের জি-৩ রেসকোর্স এলাকার বাসভবনে বিদ্যুতের তার টানা নিয়ে প্রতিবেশী ব্যবসায়ী মনজিৎ সিংয়ের সঙ্গে বচসা বাঁধে। সেই বচসার জেরে স্থানীয় নেহরু কলোনি থানার পুলিশকে নিয়ে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন অভিযুক্তরা। শুরু হয় নির্বিচারে মারধর। স্ত্রীকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। সেখানে অকথ্য অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। মাকে ছাড়াতে গেলে ১৮ বছরের মেয়েকেও থানা চত্বরে নৃশংসভাবে মারধর করে পুলিশ। কন্যার গোপনাঙ্গে লাথি মারা হয়েছে। এমন গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন কিরণবাবু। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্ত্রীকে জোর করে পেরেক খাওয়ানো হয়েছে। মেয়েকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। বাঙালি বলেই পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে কিরণবাবু সপরিবারে দেরাদুন ছেড়ে ফিরে এসেছেন বাংলার সোদপুরের পৈতৃক বাড়িতে। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের সম্পত্তির উপর প্রতিবেশী মনজিৎ সিংয়ের নজর ছিল। তিনি জানতেন, স্থানীয় স্তরে বাঙালি পরিবার হওয়ায় তাঁদের পাশে কেউ দাঁড়াবে না। আর সেই সুযোগেই পুলিশকে হাতিয়ার করে হামলা চালানো হয়েছে।