দিঘায় বেড়াতে গিয়ে কড়মড়িয়ে কাঁকড়া না খেলে বেড়ানোর আনন্দ সম্পূর্ণ হয় না। এমনটাই মনে করেন অনেকে। কিন্তু সেই কাঁকড়া খাওয়ার পরেই মৃত্য়ুর কোলে ঢলে পড়লেন কলকাতার যুবক। মৃত যুবকের নাম সৌম্যদীপ শিকদার(২২)। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিল শিকদার পরিবার। কলকাতার বেহালায় তাঁদের বাড়ি। সমুদ্র স্নানের পর সৈকতেই কাঁকড়া খেয়েছিল ওই পরিবার। এদিকে পরিবারের সদস্যদের দাবি কাঁকড়ায় সৌম্যদীপের অ্যালার্জি আছে। তবু সে একটি কাঁকড়ায় কামড় বসিয়েছিল। এদিকে কাঁকড়া খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থতা বোধ করতে থাকে সে। দ্রুত হোটেলে ফিরে আসে। পরিবারের অন্য়ান্য় সদস্যরা এরপর হোটেলে ফিরে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে সে। দাঁতে দাঁত লেগে জিভও অনেকটা বেরিয়ে এসেছে। হোটেলের কর্মীরা দ্রুত চামচ দিয়ে দাঁত ছাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা তা পারেননি। এরপর দিঘা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, অ্য়ালার্জি থাকায় সে ডিম ভাত খেয়েছিল দুপুরে। কিন্তু সৈকতে সামান্য কাঁকড়া ভাজা খেয়েছিল। এরপরই তার গলা জ্বালা শুরু হয়। তার মাসি সুস্মিতা মজুমদার জানিয়েছেন, চিংড়ি মাছ, কাঁকড়ায় অ্যালার্জি ছিল সৌম্যদীপের। হাঁপানির সমস্যা হত। সৈকতে কাঁকড়া ভাজা খেয়েছিল। তারপর থেকেই অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করে। এদিকে চলতি বছরেই মার্কেটিং অনার্স নিয়ে স্নাতক হয়েছিলেন এই যুবক। চাকরিও করছিলেন। তিনদিনের ছুটিতে দিঘা গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যে এভাবে সৌম্যদীপকে চিরতরে হারাতে হবে তা ভাবতেও পারেননি পরিবারের সদস্য়রা। বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। তবে বাস্তবে এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।