সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে প্রকাশ্যে এল ‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’-এর পোস্টার! কবে মুক্তি পাবে ছবিটি?

২ মে ছিল সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন। প্রকাশ্যে এল ‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ ছবির মুক্তির দিনক্ষণ। শুধু পরিচালক নয়, চিত্রশিল্পী হিসেবেও সত্যজিৎ রায় ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ। নিজের সিনেমার সমস্ত পোস্টারই ছিল তাঁর নিজের হাতে তৈরি করা। এক ঝলক দেখেই বুঝে নেওয়া যায় কোনটা সত্যজিৎ রায়ের পোস্টার।পরিচালক জয়ব্রত দাশ জানান, সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে একটা সত্যজিৎ অনুপ্রাণিত পোস্টারের মাধ্যমে তার সেই সমস্ত কাজকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে তিনি তাঁর প্রথম সিনেমার রিলিজ ডেট ঘোষণা করলেন। এই পোস্টারটির প্রধান অনুপ্রেরণা ছিল সত্যজিৎ রায়ের দুটি ছবির পোস্টার প্রথমটি হল ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ এবং আর একটি ‘চিড়িয়াখানা’। পোস্টারটি তৈরি করেছেন পরিজাত মিদ্দা।আরও পড়ুন: আতিফ, ফাওয়াদ, রাহাত ফতেহ আলি খানদের আর দেখা যাবে না ইনস্টাগ্রামে? পাকিস্তানি শিল্পীদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হল ভারতেকিন্তু সিনেমার নাম কেন অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ? পরিচালক বলেন, ‘এই সিনেমার প্রত্যেকটি চরিত্র এক একজন ক্রিমিনাল। প্রত্যেকেই এক একটা বিশেষ বিশেষ কাজে দক্ষ। যেমন কেউ ভালো চুরি করতে পারেন, কেউ প্রফেশনাল হিটম্যান আবার কেউ লক আর্টিস্ট। আর যেহেতু এই প্রত্যেকটি কাজই এক একটা ফাইন আর্ট এবং চরিত্ররা আর্টিস্ট তাই , সিনেমার এই নাম।’এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রুদ্রনীল ঘোষ, সৌরভ দাস ,পায়েল সরকার , ঋষভ বসু , অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, অমিত সাহা, অনিন্দ্য পুলক বন্দোপাধ্যায়দের।আরও পড়ুন: পহেলগাঁওয়ে ঘটনার সঙ্গে কন্নড় ভাষাকে টেনে মন্তব্য সোনুর! পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করল কন্নড়পন্থী সংগঠনছবি প্রসঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘এটি মূলত বাংলায় পাল্প অ্যাকশন কমেডি। এই ধরনের ছবি এর আগে খুব একটা হয়নি। কাজেই এই অন্য ধরার ছবি যাতে বাঙালি দর্শকদের কাছে পৌঁছতে পারে এবং ফিল্ম স্কুলের ট্যালেন্টেড মেকাররা যাতে কাজের অভাবে কলকাতার বাইরে না চলে যান সেজন্যই ছবিটির সঙ্গে আছি। এক টাকার বিনিময়ে প্রায় ২৭ দিন ধরে শুট করেছি।’ সৌরভ বলেন, ‘যে ভাষায় এই ছবিটি কথা বলবে, সেই ভাষায় এর আগে বাংলায় সিনেমা তৈরি হয়েছে কিনা আমি জানিনা।’প্রসঙ্গত, পরিচালক জয়ব্রত দাশ জানান যে, ঘটনাচক্রে এই ছবির সমস্ত কাজ শুরু হয়েছিল ২০২১-এর ২ মে। দীর্ঘ চার বছর পর এই ছবি মুক্তির আলো দেখছে। ফিল্ম ইনস্টিটিউট এর কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে, সম্পূর্ণ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভাবে , নিজেদের নিজস্ব পুঁজি দিয়ে চার বছর ধরে এই ছবিটি তৈরি করেছেন জয়ব্রত। বহুবার বন্ধ হয়ে গেছে ছবির কাজ, আবার ফান্ড জোগাড় করে শুরু হয়েছে। সিনেমাটি শেষ করতে সাহায্য করেছেন সৌম্য সরকার এবং প্রমোদ ফিল্মসের কর্ণধার প্রতীক চক্রবর্তী।ছবিতে ক্যামেরার দায়িত্বে ছিলেন অর্ণব লাহা এবং নবনীল সান্যাল। এডিটিংয়ের দায়িত্বে আশিক সরকার। ছবির এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার সংকেত মিশ্র এবং মানব সাহা। চলতি বছরের ৪ জুলাই এই ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।